ওমানের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হচ্ছে উবার শহর। এটি ধোফার প্রদেশে অবস্থিত, যা মরুভূমির দক্ষিণ প্রান্তে ‘শাসর’ নামে পরিচিত। বিশেষকরে বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানীদের মধ্যে এটিকে সাদ্দাদের বেহেস্ত হিসেবেও বেশ পরিচিতি রয়েছে। শহরটি ২০০০ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। উবারের প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় অনন্য স্থাপত্য এবং আকর্ষণীয় ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এই জায়গার গল্পটি অনেক রহস্য এবং কিংবদন্তি দিয়ে বেষ্টিত।
তবে ওমানিদের মাঝে সবচেয়ে প্রচলিত হচ্ছে, হাজার হাজার বছর আগে লাভজনক লোবান ব্যবসার জন্য বিখ্যাত এই অঞ্চল একটি ধনীদের শহর ছিল। তৎকালীন সময়ে একটি বিশাল ধুলি ঝড়ে সম্পূর্ণরূপে এই শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। অর্থাৎ বালুর নিচে চাপা পড়ে যায়। পরবর্তীতে বিশ্বের বৃহত্তম বালুকাময় মরুভূমি খালি কোয়ার্টার মরুভূমির গভীর বালিতে লুকিয়ে থাকা এই হারিয়ে যাওয়া শহরটি খুঁজে পেতে অনুসন্ধানকারীদের অনেকে দক্ষিণ ওমানের ধোফার অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক দল জানিয়েছে, এই স্থানের মানব বসতি সাত হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। প্রত্নতাত্ত্বিক এই জায়গাটি আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিচয় যাচাই করার জন্য এলাকায় একটি খনন কার্যক্রম শুরু করে ওমান সরকার। পরবর্তীতে এর মধ্যে স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিক উপকরণ, বিশাল স্তম্ভ, টাওয়ার, ধাতব নিদর্শন, মৃৎশিল্প, অর্থ এবং অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায়। যার মধ্যে ইসলামী যুগের বিভিন্ন সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post