ওমানের সিবে অঞ্চল অন্যান্য এলাকার তুলনায় বিভিন্ন অবকাঠামো দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। যে কারণে অঞ্চলটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমের হার প্রথমদিকে খুব কমছিলো। কিন্তু শ্রমিকদের ঘনত্বের কারণে এলাকাটিতে বেড়েই চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণ অ্যাপ্লিকেশন তারাসুদ এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত আল-সিব অঞ্চলে ২৩৩ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। এটি গতকাল একটি অঞ্চলে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা। সিবের বর্তমান পরিস্থিতি মাতরাহ ছাড়িয়ে গেছে। এই অঞ্চলে বর্তমানের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ২৭৪ জন। এর পরেই রয়েছে বৌশার, যেখানে নতুন ৮১ জন সহ মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৫ জন।
মাস্কাট হেলথ সার্ভিসেস-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. ফাতিমাহ আল আজমি ওমান টিভির এক সাক্ষাতকারে বলেছেন: “প্রতিটি এলাকার একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যান্য এলাকার তুলনায় মাতরাহ অঞ্চলটির ভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে এবং এই অঞ্চলটির উপর প্রাথমিক দৃষ্টি রেখে আমরা করোনা কমাতে সক্ষম হয়েছি। এই সাফল্যটি মূলত এই অঞ্চলের লোকদের সহযোগিতা ও তাদের প্রতিশ্রুতির কারণে অর্জিত হয়েছে। মাতরাহতে প্রবাসী কর্মীদের সাথে ওমানিদের তুলনা করার সময় আমরা দেখতে পাই যে ওমানিদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার প্রবাসীদের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে আমরা সংক্রমণের শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি।”
আরও পড়ুনঃ শ্রমবাজার উন্নয়নে ওমানের নতুন সিদ্ধান্ত
তিনি আরও বলেন, “সিবের এলাকাগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকদের বসবাস প্রচুর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মেডিকেল সেন্টারে আমরা প্রতিদিন ২০০ টির মতো প্রবাসী করোনা রোগী পাচ্ছি। সুতরাং এই অঞ্চলে প্রবাসী শ্রমিকদের ঘনত্ব ক্রমেই বেড়ে চলছে। তবে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার অন্যতম কারণ হলও রমজান ও ঈদ-উল ফিতরের সময় সাধারণ জনগণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং তারা সরকারের সকল প্রকার স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলে নি। সুত্রঃ টাইমস অব ওমান
আরও দেখুনঃ করোনাজয়ী দুইজন ওমান প্রবাসীর সাক্ষাৎকার
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post