মহামারী করোনা চিকিৎসায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে ডেক্সামেথাসোন অত্যন্ত কার্যকর বলে ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। বিশেষ করে যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তাদের জীবন বাঁচাতে এই ওষুধ খুব ভালো কাজ করে বলে দাবি করা হয়েছে। ওষুধটি ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এতে, বিশ্বজুড়ে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা রোগীদের সারিয়ে তুলতে এরইমধ্যে ব্যবহার করতে শুরু করেছে এই ওষুধ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ব্রিটেনের বিভিন্ন হাসপাতালে দুই হাজারের বেশি করোনা রোগীকে পরীক্ষামূলক ভাবে ডেক্সামেথাসন ওষুধটি প্রয়োগ করেন। আর এর চূড়ান্ত ফলাফলের মাধ্যমেই দেশটিতে স্বীকৃতি মেলে করোনা রোগীদের জন্য এটি ব্যবহারের।
করোনা থেকে রক্ষা পেতে পুরো বিশ্ব অপেক্ষায় ছিলো ভ্যাক্সিনের, তবে এবার ব্রিটিশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলো – ‘ডেক্সামেথাসন’ ওষুধটিই প্রাণ বাঁচাবে সংকটাপন্ন কোভিড রোগীদের। জীবন রক্ষাকারী এই ওষুধ বিশ্বজুড়ে বেশ সহজলভ্য এবং দামও কম।
যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটালস চিকিৎসক ডা. রাইয়িক রেদোয়ান বলেন, ‘এই ওষুধটির বেশকিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই জন্য যারা গুরুতর অবস্থায় আছে শুধুমাত্র তাদের জন্য এটি ব্যবহার করতে হবে।’ যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা মহামারির শুরুতে এই ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে ঠেকানো যেত অন্তত ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু।
আরও পড়ুনঃ ওমান প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ ঘোষণা
যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটালস চিকিৎসক ডা. রাইয়িক রেদোয়ান বলেন, ডেক্সামেথাসন ওষুধটি যদি করোনায় গুরুতর অবস্থার রোগীদের দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার কমে আসবে। যাদের ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ এবং যাদের শুধু অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে তাদের পাঁচ ভাগের এক ভাগ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনছে। তবে, ওষুধটির রয়েছে বেশকিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। মৃদু উপসর্গ যুক্ত রোগীদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলেও জানান এই চিকিৎসক।
আরও দেখুনঃ সংকট ও সম্ভাবনায় ওমান প্রবাসী
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post