সাত দিন পর দেশে ফিরলো ওমানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত মো.শাহজানের মরদেহ। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রাম শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে তার মরদেহ। তার দেশের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার ৮ নং মেখল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ আমির হোসেন বাড়ীতে।
তার বাবার নাম মো. নুর হোসেন। ওমানের হামরিয়া থেকে চট্টগ্রাম সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো.নেজাম উদ্দীন বলেন, নিহত শাহজান গত ১৮ বছর যাবত মাস্কাটের মিসফাহ এলাকায় একটা কোম্পানিতে গাড়ির গ্যারেজে কাজ করতো।
একটু বাড়তি আয়ের আশায় ছুটির দিনেও কাজ করতেন তিনি। গত ৩০ ডিসেম্বর ছুটির দিনে একটু বাড়তি আয়ের আশায় জিফনিন নামক স্থানে কাজ করতে যায়। সেখানে কাজ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খোলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে তার নিকট আত্মীয় আইয়ুব, নঈম ও নজরুল বুধবার মরদেহ গোছল দিয়ে কাফন পরিয়ে কফিন বন্দি করে ওমান বিমান বন্দরে বুঝিয়ে দেয়। বুধবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে ওমান বিমান বন্দর থেকে সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইটে করে লাশটি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মরদেহ দেশে পৌঁছানোর পর পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। বাক্সবন্দী ছেলেকে দেখে শোঁকে স্তব্ধ বৃদ্ধ বাবা মা। নিহতের শ্যালক বেলাল জানান, মেখল ফকিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শাহজানকে দাফন করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post