নতুন বছরের শুরুতেই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ওমান। এমনটাই দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ৩ থেকে ৫ জানুয়ারির মধ্যে ওমানের আকাশে দেখা যাবে চতুষ্কোণ উল্কা বৃষ্টির, এমন দাবি মহাকাশ গবেষকদের। এরকম উল্কা বৃষ্টি আগে কখনো দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওমানের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই বছরের সবচেয়ে তীব্র উল্কাপাতকে ঝর্ণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাতের আকাশে এই উল্কাবৃষ্টি খালি চোখে উপভোগ করা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, ওমানের মানুষ টেলিস্কোপ ছাড়াই চতুর্ভুজ উল্কা ঝরনা উপভোগ করতে পারবে। এটি সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণগুলির মধ্যে একটি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিষ্কার রাতে এর তীব্রতা প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১১০ উল্কাতে পৌঁছেছে। ৩-৪ জানুয়ারি রাতে উল্কা বৃষ্টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে বলে জানান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আব্দুলওয়াহাৰ আল বুসাইদি। বিজ্ঞানীদের মতে, ওমানের যেকোনো জায়গা থেকে এই দৃশ্য উপভোগ করা যাবে রাতে।
মহাকাশ গবেষকদের মতে, সাধারণত ধূমকেতুর কণা এবং গ্রহাণুর ভাঙা অংশ এই ধরনের উল্কায় পরিণত হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যখন তা প্রবেশ করে তখনই আগুন ধরে যায় আর আকাশে উজ্জ্বল কণার মতো প্রতিভাত হয়। ১৮২৫ সালে প্রথম এই ধরনের উল্কা বৃষ্টির পরিচয় পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাকে চতুষ্কোণ উল্কা বৃষ্টির নাম দিয়েছিলেন। সাধারণত জানুয়ারির শুরুতেই এই উল্কা বৃষ্টি হয়ে থাকে। আকাশে অনেকক্ষণ ধরে তা জ্বলতে দেখা যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post