নতুন বছরের সঙ্গে সূচনা হয় এক নবদিগন্তের। সেই দিগন্তকে বরণ করে নিয়েছে পুরো বিশ্ব। ওমানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালকে। বর্ণিল আতশবাজি, সঙ্গীত, লেজার শোসহ নানা আয়োজন ছিল বিশ্বজুড়ে। তবে সবচেয়ে চোখ ধাঁধানো উৎসব হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে রেকর্ড-ব্রেকিং আতশবাজির মাধ্যমে ২০২৩ সালকে স্বাগত জানানো হয়। মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, আতশবাজি, ড্রোন শো এবং তারকাখচিত কনসার্টের মাধ্যমে এবছর আমিরাত তিনটি বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছে।
২০২৩ সালে মহামারী আঘাত হানার পর প্রথমবারের মতো কোভিড-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত হয়ে উৎসব শুরু হয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ২০২৩ সালকে “আরও সুন্দর” করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওমানের বিভিন্ন তারকা হোটেল এবং রিসোর্টে পালন করা হয়েছে নতুন বছরের অনুষ্ঠান। নাচ, গান এবং খাবারের মহাসমারোহ ছিল এসব জায়গায়। ওমানে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এসব জায়গায় থার্টি ফাস্ট পালন করেন। এছাড়া কিছু মানুষ শহর থেকে দূরে মরু এলাকায় উদযাপন করেন ভিন্ন আমেজে।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই নতুন বছরের সেলিব্রেশনে মেতে ওঠে গোটা বিশ্ব। থাইল্যান্ড এবং তাইওয়ান স্কাইলাইনে বিশাল আতশবাজি প্রদর্শনের মাধ্যমে নতুন বছর উদযাপন শুরু করে এবং সারা রাতব্যাপী চলে আয়োজন। তাইওয়ানে তাইপেইয়ের আকাশে আতশবাজির আলো জ্বলেছে রাত ১২ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে। আতশবাজিগুলি তাইপেই ১০১ তলা একটি বিল্ডিং থেকে শুরু করা হয়েছিল, যা কেবল দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু ভবনই নয়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনগুলির মধ্যে একটি।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়ায়, নতুন বছরের প্রাক্কালে সিডনি হারবার ব্রিজকে চকচকে আতশবাজির আলোয় আলোকিত করার মাধ্যমে আকাশটি বিভিন্ন রঙে আঁকা হয়েছিল। আর সবার প্রথম বর্ষবরণ শুরু হয় নিউজিল্যান্ডে। ঘড়ির কাঁটা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই অকল্যান্ড টাওয়ার জ্বলে ওঠে এবং বাতাসে আতশবাজি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post