মালয়েশিয়ায় কৃষি, পরিষেবা এবং নির্মাণখাতের সেক্টরগুলোতে বিদেশিকর্মী নিয়োগের আবেদন দ্রুত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে।
বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার পর পেরদানা পুত্রায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তিনটি খাতকে অবশ্যই জোর দিতে হবে কারণ দেরিতে অনুমোদনের ফলে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের মুখ্য সচিব এবং আমি এটিকে সহজ করব। যেন আবেদনের অনুমোদন দ্রুত করা যায়।
তিনি বলেন, উৎপাদক এবং বিনিয়োগকারীরা এসে জিজ্ঞাসা করেছেন। সুতরাং, আমাদের অবশ্যই এটি খতিয়ে দেখে শুরু করতে হবে যেন অনুমোদনের গতি বৃদ্ধি পায় এবং আগের তুলনায় আরও কার্যকর হয়। এদিকে, মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি. শিবকুমার বলেন, মন্ত্রণালয় শ্রম ঘাটতির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং এটি মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রক্রিয়াগুলোকে গতিশীল করতে এবং দ্রুত পর্যাপ্ত শ্রম সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কাজ করবে। তিনি যোগ করেন, এ পর্যন্ত ৭০ হাজার বিদেশি কর্মীর আবেদন মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে। প্রদত্ত অনুমোদনগুলোর মধ্যে নির্মাণ, পরিষেবা এবং কৃষিখাত রয়েছে।
কার্যকর হচ্ছে কর্মসংস্থান আইন:
কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ (সংশোধন) ২০২২, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে। ২১ ডিসেম্বর মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি. শিবকুমার বলেছেন, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ (সংশোধন) ২০২২ এর সংশোধিত বিধি প্রয়োগ স্থগিত করা হয়েছিল, এখন ১ জানুয়ারি, ২০২৩-এ কার্যকর করা হবে। মন্ত্রী বলেছেন, যদিও স্থগিতকরণের সময়কাল বাড়ানোর জন্য শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছিল, আইনটির সংশোধনী কার্যকর করারও প্রয়োজন ছিল।
তিনি মনে করেন বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত কারণ এই আইনটি এরই মধ্যে সংসদে পাস হয়েছে এবং বেশিরভাগ সংশোধনী আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশনের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। গত ২৬ আগস্ট, তৎকালীন মানবসম্পদমন্ত্রী এম. সারাভানান কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫-এর সংশোধনী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
সংশোধনী অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে কর্মঘণ্টা ৪৮ থেকে ৪৫ ঘণ্টায় কমিয়ে আনার পাশাপাশি, মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯৮ দিন এবং পিতৃত্বকালীন ছুটি তিন দিন থেকে বাড়িয়ে সাত দিন করা হয়েছে। শিবকুমার বলেন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৫-এর সংশোধনীর অধীনে, নিয়োগকর্তাদের ৬০ক (৪) ধারা অনুযায়ী বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য অবশ্যই ডিপার্টমেন্ট অব লেবার পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার (জেটিকেএসএম) ডিরেক্টর-জেনারেল থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তার মতে, মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগকর্তাদের শ্রমের মান নিশ্চিত করতে ধারা ৬০ক (৪) কাজ করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post