অভ্যন্তরীণ রুটে বেসরকারি এয়ারলাইনগুলোকে টিকিয়ে রাখতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)। দেশি এয়ারলাইনগুলোর প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে নিজের দাবি তুলে ধরে এওএবি। এসময় তারা কম মুল্যে জ্বালানী তেল সরবরাহের দাবি জানায়।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়। সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন, সাশ্রয়ী জ্বালানি তেলের জোগান, উচ্চ কর রহিত করা, যৌক্তিক সারচার্জ নির্ধারণ এবং অসম প্রতিযোগিতার অবসান করার দাবি জানিয়েছে এওএবি। পরে কমিটি এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠক করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মোশাররফ হোসেন, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে নিজের দাবি লিখিতভাবে তুলে ধরে এওএবি।
বৈঠকে সংগঠনটি জানিয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের আলোকে প্রয়োজনীয় নীতিমালা অপর্যাপ্ত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নীতিমালা করা প্রয়োজন। এয়ারলাইনের পরিচালনায় ব্যয়ের প্রায় ৫০ ভাগ খরচ হয় জেট ফুয়েলে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি দামে তেল কিনতে হয়। শুধু পদ্মা অয়েলের কাছ থেকেই সবাই তেল কিনতে বাধ্য। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে এখানে দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু দাম কমলে আর এখানে কমানো হয় না। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক মানদণ্ডে দেশে সিভিল এভিয়েশনের নির্ধারণ করা চার্জ ও সারচার্জ অনেক বেশি।
তারা জানায়, বেসরকারি এয়ারলাইনগুলোকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানিতে অনেক বেশি কর দিতে হয়। তারা একটি অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। জেট ফুয়েলের দাম বাড়ায় বেসরকারি এয়ারলাইনগুলো ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়। কিন্তু সরকারি সহায়তায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহন করে। বেসরকারি এয়ারলাইনগুলোর চেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ সব রুটে কম ভাড়া নির্ধারণ করে। বেসরকারি সংস্থাগুলো একটি অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে।
এসব কারণে বেসরকারি খাতে এয়ারলাইন্স পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে। কয়েকটি কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান পরিবহন সেবা আরও সহজলভ্য করা যাবে, এটি পর্যটনেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post