একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নাজিরহাট পৌরসভার দৌলতপুরের এক মা। চারটি ছেলে ও দুইটি মেয়ের ওজন ছিল ৩৫০ থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে। প্রায় দেড় ঘণ্টা বেঁচে ছিল নবজাতকরা। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নরমাল ডেলিভারিতে এসব সন্তান ভূমিষ্ট হয় নাজিরহাটের বেসরকারি সেবা ক্লিনিক ও নার্সিং হোমে ডা. উম্মে ফাতেমা তুজ জোহরার তত্ত্বাবধানে।
ডা. উম্মে ফাতেমা তুজ জোহরা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাসলিমা আকতার নামের ওই প্রসূতির স্বামী দুবাই থাকেন। তাসলিমা আমার তত্ত্বাবধানে ছিলেন গর্ভধারণের সাড়ে তিন মাস থেকে। প্রথমে দেখেই আমার মনে হয়েছিল তার পেটের উচ্চতা বেশি। আল্ট্রা করিয়ে দেখি ছয়টি সন্তান। তারা মুভমেন্ট করছে এবং অ্যাকটিভ আছে। গর্ভধারণের সাড়ে ৫ মাসের দিকে এসে জরায়ুর সমস্যা নিয়ে তাসলিমা আবার আসেন।
আবার আল্ট্রা করালাম। এবার একেক সন্তানের পজিশন একেক রকম, উল্টা পাল্টা। এক্ষেত্রে আমার হাতে দুইটি অপশন ছিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা অথবা দ্রুত মাকে বাঁচাতে নরমাল ডেলিভারির ঝুঁকি নেওয়া। যেহেতু রোগী আমার ওপর আস্থা রেখে অনুরোধ করেছেন তাই আমি নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিয়ে স্যালাইন পুশ করি। একে একে চারটি ছেলে ও দুইটি কন্যা প্রসব হয়। অপরিণত হওয়ায় তারা জীবিত ছিল দেড় ঘণ্টার মতো। আল্লাহর রহমত মা সুস্থ আছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এখানে কাজ করছি আমি। যদি একসঙ্গে ২-৩টি নবজাতক হতো তাহলে হয়তো মা-সন্তান উভয়কে বাঁচাতে পারতাম। ছয়টি নবজাতক হওয়ায় এটি অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাসলিমার মা রোকেয়া বেগম বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসক আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। আল্লাহর রহমত আমার মেয়ে সুস্থ আছে। এর আগে তার দুইটি মেয়ে হয়েছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post