বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় বিদেশফেরৎ বড় ভাইকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত বড় ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৪) খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের সেমুতাং গ্যাস-ফিল্ড এলাকার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত নিহতের ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান (১৯)। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও খুনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
তিনি জানান, নিহত সাজ্জাদ সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর তার ছোটভাই মোস্তাফিজুর রহমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায়। কিন্তু সাজ্জাদ তাকে ভর্তির টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাজ্জাদ মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মোস্তাফিজ পেছন থেকে ধারালো দা দিয়ে তার ঘাড় ও গলায় কোপায়। এতে সাজ্জাদ ঘটনাস্থলে নিহত হন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, সাজ্জাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটনে জন্য পুলিশের একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর নিহতের ছোটভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। গঠিত টিমের চৌকস সদস্যদের দফায় দফায় কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মোস্তাফিজ বড় ভাইকে হত্যার পুরো ঘটনা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা, রক্তমাখা কাপড় ও হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিমানবন্দরে প্রবাসীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে এক
মদের উপর কড়াকড়ি আরোপ করলো ওমান
কাতারে নিজ দেশ থেকেও নিরাপদ বোধ করছেন বিদেশি নারীরা
ফ্লাইটের তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে যাওয়ার প্রয়োজন
প্রণোদনা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স আসছে
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post