মরিলে কান্দিস না আমার দায় রে যাদুধন, মরিলে কান্দিস না আমার দায়। সুরা ইয়াসীন পাঠ করিও বসিয়া কাছায়, যাইবার কালে বাঁচি যেন শয়তানের ধোঁকায়… গানের এই কথাগুলো যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ মিললো ওমান প্রবাসী ওয়ারেস আলির (৬২) বেলায়। হতভাগা এই প্রবাসীর মৃত্যুর পর কান্না করার মত লোক পাওয়া তো দূরের কথা পরিবারের লোকজনই খুঁজে পাওয়া যায়নি! মৃত্যুর সময় সূরা ইয়াসিন কেউ পাঠ না করলেও শেষবারের মত লেবুর শরবত খাইয়েছেন সহকর্মী অন্য প্রবাসীরা। পাসপোর্টে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী হতভাগা এই প্রবাসীর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মুনাফ। মায়ের নাম সময় বিবি।
চলতি মাসের ২ তারিখ কাজের সন্ধানে ওমানের সুইক খাদারা নামক স্থানে একটি বাংলাদেশি কৃষি খামারে যান। উক্ত কৃষি খামারে কাজ না থাকায় তাকে অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করতে বলা হলে তিনি অসুস্থ বলে দুইদিনের জন্য থেকে যান। অবশেষে ৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে আশেপাশে ঘুমন্ত প্রবাসীদের জাগিয়ে একটু লেবু পানি খেতে চান। প্রবাসীরা তাৎক্ষনিক লেবুর শরবত খাওয়ালে কিছুক্ষণ পরেই মারা যান ওয়ারেস আলি।
বর্তমানে তার মরদেহ সুইকের মর্গে রাখা আছে। তার পরিবারের কাছে খবর পৌছাতে পাসপোর্টে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার থানায় এবং ইউনিয়নেও যোগাযোগ করা হয় প্রবাস টাইমের পক্ষথেকে। এখন পর্যন্ত তার পরিবারের কারো সন্ধান মেলেনি। এমতাবস্থায় তার পরিবারের কোনো সন্ধান পেলে আমাদের স্ক্রিনে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে সকল প্রবাসীকে তার পরিবারের একটা নাম্বার পরিচিত কাউকে দেওয়ার অনুরোধ রইলো। যাতে জরুরী মুহূর্তে পরিবারের সন্ধান করা যায়।
আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ : আমানত নিয়ে
প্রবাস থেকেই খোলা যাবে বিকাশ ও নগদের
ওমান প্রবাসী বাংলাদেশি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’র লাশ
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিলো ওমানের
শিশু আয়াতকে খুন করার ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিলো অপরাধি
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post