ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৮ হাজার ফুট উপরে আগুনের গোলা দেখার দাবি করেছেন মোট ১১ জন বিমানের পাইলট। এ ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। পাইলটদের অভিযোগ, অসম্ভব উজ্জল আগুনের গোলায় চোখ ধাঁধিয়ে গেছে। পর পর একাধিক বিমান থেকে এমন অভিযোগ আসার পরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। তবে এর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
কলকাতা বিমানবন্দরের আকাশসীমায় এসে ৩৬ হাজার ফুট উঁচুতে ওড়া সময় দুবাইগামী একটি ফ্লাইট প্রথমে এই অভিযোগ জানায়। ওই সময় তার অভিযোগ খুব একটা আমলে নেয়নি এটিসি। ভূপৃষ্ঠ থেকে এতো উঁচুতে মাঝেমাঝে এই ধরনের দৃষ্টিভ্রম হওয়া স্বাভাবিক। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে যখন, ৩৬-৩৮ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে যাওয়ার সময় পরপর ১১টি বিমানের পাইলটের কাছ থেকে একই ধরনের অভিযোগ আসে।
কোনো পাইলট বলেন, সামনে একটি উজ্জল আলোর ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিঁয়ে যাচ্ছে। কেউ বলেন, আগুনের গোলা দেখতে পাচ্ছেন, কয়েকজন পাইলট আবার প্রশ্ন করেন, সামনে কি বিমানের ট্রাফিক আছে? ভীষণ উজ্জল আলো দেখতে পাচ্ছি। এই ঘটনার পর তাৎক্ষনিক এটিসির পক্ষ থেকে দেশটির বিমানবাহিনী ও ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন) এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের দাবি, ধুমকেতু, উল্কাপাত অথবা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হলে তা আগে থেকে এটিসিকে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এ দিন সে রকম কোনো সতর্কবার্তাই ছিল না। ফলে, এটিসি অফিসাররা কার্যত বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের কর্মকর্তা সঞ্জীব সেন জানিয়েছেন, উল্কাবৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল না। এই ঘটনার সম্ভাব্য বাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মাঝেমধ্যেই আচমকা মহাকাশ থেকে ধুলো বা কোনো ছোট পাথরের টুকরো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে সেই ধুলো বা পাথরের টুকরোগুলো জ্বলে যায়। এ ক্ষেত্রেও তেমন হতে পারে। এই ধরনের ঘটনার আগাম কোনও পূর্বাভাসও থাকে না।
আরও পড়ুন:
সব আইন শুধু প্রবাসীদের জন্য!
মাস্কাটে ভারী বৃষ্টিপাতের পুর্বাভাষ, সবাইকে
জাতীয় দিবসের ছুটিতে ওমানে পর্যটকের আনাগোনা
টিভি, গাড়ি না কিনে টাকা জমানোর পরামর্শ
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৬ কোটি ডলার
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post