যে কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। সেই কাতার বিশ্বকাপে বিশেষ আমন্ত্রণ জানালেন দেশটির আমীর। মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মতো বড় একটি ইভেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। কাতারের প্রত্যাশা, এই ইভেন্টটি বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসবে যা উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের সাথে ভাগ করে নিতে চায় দোহা।
ইতিমধ্যেই আমিরের আমন্ত্রণে দোহায় পৌঁছেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে দেশটিতে পৌঁছান তিনি। এদিকে ওমানের ক্রাউন প্রিন্স সাইদ থায়াজিন বিন হাইথামও আজ কাতার পৌঁছেছেন।
এ ছাড়াও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও আজ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কাতারের রাজধানী দোহায় গেছেন। এর আগে শনিবার দেশটিতে পৌঁছান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাতাহ আল সিসি, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে এবং ইকুয়েডরের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলফ্রেদো বোরেরো কাতারে পৌঁছেছেন।
এদিকে তুরস্ক ও এবং কাতারের মধ্যে সম্পর্কটা আলাদা। বিশেষ করে ২০১৭ সালের পর এ দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই বছর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ। তারা কাতারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। এমন সময় কাতারের পাশে দাঁড়ায় তুরস্ক। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমিরের মধ্যে আলাদা সুসম্পর্ক তৈরি হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post