এক যুগ পরে দ্বিতীয়বার ট্রফিতে চুমু খেলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা। বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে সবাই মেতে উঠেছেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। টি-টোয়োন্টিতে ২০১০ সালের পরে দ্বিতীয় উদযাপন ফিরল এ বছর। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে জস বাটলারের দল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর শিরোপা হাতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাদের উদযাপনের অনুষঙ্গ ছিল মদের বোতল (শ্যাম্পেইন)। এটি সেখানকার উদযাপন সংস্কৃতিরই অংশ। তা ছিটিয়েই শিরোপা নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন ক্রিকেটাররা।
তবে শ্যাম্পেইনের বোতল চ্যাম্পিয়ন মঞ্চে আসতেই দৌঁড়ে মঞ্চ ছাড়েন দুই মুসলিম ক্রিকেটার মঈন আলি ও আদিল রশিদ। ইসলাম ধর্মে মদ হারাম। তাই শ্যাম্পেইন উদযাপন থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখেন ধর্মভীরু এই দুই ক্রিকেটার। সতীর্থরা যখন উল্লাসে মত্ত তখন চ্যাম্পিয়ন মঞ্চ ছেড়ে নিজেদের হারাম কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। সকলেই তখন বিষয়টিকে সম্মান জানিয়ে সাদরে তাঁদের প্রস্থান মেনে নেন। শুধু উদযাপন নয়, খেলার মধ্যেও ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে চলার চেষ্টা করেন তারা। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দলের শ্যাম্পেইন উদযাপন থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখেন মঈন এবং রশিদ।
শুধু এবারই নয়! এর আগেও মুসলিম ধর্মের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের এমন আরও ঘটনা আছে এই দুই ক্রিকেটারের। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ উদ্যাপনে তারা শ্যাম্পেইন ছিটানোর নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে এসব করতে গিয়ে কখনোই নিজের দায়িত্ব থেকে সরে যাননি তারা। সর্বক্ষেত্রে অন্যদের কাছে যা হতে পারে অনুকরণীয় আদর্শ।
আরো পড়ুন:
ওমানের জাতীয় দিবসের বাকি ২ দিন, উদযাপনে
ওমানে বিশ্বকাপের ছোঁয়া, মাস্কাটে পৌঁছেছে জার্মান
কাতার বিশ্বকাপে সেবা দিবে ৮ হাজার বাংলাদেশি
প্রবাসী কর্মীকে চাকরীচ্যুত করায় পৌনে দুই লাখ
ওমানের আল খয়েরে পুলিশের কঠোর অভিযান
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post