এবারের বাজেটে প্রবাসীদের আয় কমার শঙ্কা থাকলেও সুস্পষ্ট করণীয় নেই বাজেট প্রস্তাবনায়। এমন অবস্থায় দক্ষ জনশক্তি রফতানির দিকে নজর দিতে হবে সরকারকে পরামর্শ শ্রমবাজার বিশেষজ্ঞের। তাদের পরামর্শ, ২ শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করলে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ বাড়বে বলেও মত তাদের। ১ কোটি প্রবাসীর পাঠানো দেড় হাজার কোটি ডলারের ওপর ভর করে শক্ত ভিত পেয়েছে দেশের অর্থনীতি। তবে সে ভিতকে ঝাঁকুনি দিয়েছে করোনা মহামারি। গেল এপ্রিল ও মে, এই দুই মাসে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কম এসেছে ৫৯ কোটি ডলার। তাই চিন্তার ভাঁজ খোদ অর্থমন্ত্রীর কপালেও।
শ্রম বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, রেমিট্যান্স নিয়ে শঙ্কা থাকলেও করণীয় নিয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা নেই এবারের বাজেটে। এ ব্যাপারে রামরুর প্রকল্প পরিচালক মেরিনা সুলতানা বলেন, দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার পর থেকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছে। এখন এটা চার শতাংশ করা দরকার। যারা দেশে ফিরেছেন কিন্তু যেতে পারছেন না তারা দেশে যেন কিছু করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা দরকার।
এর পর যখন তারা আবার বিদেশে যাবেন তখন যেন দক্ষতা নিয়ে যেতে পারেন এজন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। এজন্য এ খাতে বাজেট দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১১ মাসে মোট প্রবাস আয় এসেছে ১৭ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুনঃ ওমানের আউট পাশের ব্যাপারে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তি
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায়ও উঠে আসে আগামীতে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা। বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর জন্য ২০১৯ সালের জুলাই থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের ওপর দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ফলে অর্থ বছর শেষ হওয়ার এক মাস আগেই প্রবাস আয়ে গত বছরের ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৬ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয় চলতি অর্থ বছরে।
আরও দেখুনঃ ওমানে ৭০ লাখ টাকার বাইক চালাচ্ছে বাংলাদেশী নুর মুহাম্মাদ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post