ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন পেতে এবং তেলের বাজার তৈরি করতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পাশে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু বাইডেনকে পাত্তা দেয়নি আরব নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ উপেক্ষা করে তেল উৎপাদন কমানোয় সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে এক বৈঠকে জ্বালানি তেলের উৎপাদন দৈনিক রেকর্ড ২ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। তাদের এই সিদ্ধান্তে পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষোভের পাশাপাশি উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, সৌদি আরব তেল উৎপাদন কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার জন্য অবশ্যই ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে রিয়াদকে। তবে দেশটির বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বৈশ্বিক করোনা মহামারি শুরুর পর তেল উৎপাদনে সবচেয়ে বড় ধরনের হ্রাসের ঘোষণায় সৌদি আরবের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন বাইডেন। তেল উৎপাদন কমিয়ে উচ্চমূল্য সৃষ্টি করে পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে অন্যতম বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার উপকার করছে সৌদি, এমনটা মনে করছে ওয়াশিংটন।
আরো পড়ুন:
প্রবাসীদের বেতন নিয়ে পালিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাইফুল
বিশ্বকাপ ঘিরে জমজমাট বাংলাদেশীদের ট্যুরিজম ব্যবসা
সংকটেও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যে জেলায়
শ্বশুরের মৃত্যু, শোক সইতে না পেরে না ফেরার দেশে ওমান প্রবাসীর স্ত্রী
থামছেনা মানব পাচার, নিরাপদ রুট এখন মধ্যপ্রাচ্যে
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post