দেশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলো দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব অফিসে অ-লিখিতভাবে দালাল নিয়োগ দিয়ে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলে ঘুষের কারবার। এভাবে দেশের ৭২ টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে ৬৯টিতে কর্মকর্তাদের নামে প্রতি মাসে অন্তত ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘুষের এ টাকা বিভিন্ন হারে ভাগ হয়ে যথাসময়ে পৌঁছে যাচ্ছে প্রধান কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের পকেটেও।
সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার এমন প্রতিবেদনসহ অভিযোগের নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে এসেছে। যার ভিত্তিতে অনুসন্ধানের নেমেছে দুদক। এতে বিপাকে পরতে যাচ্ছেন পাসপোর্ট অধিদফতরের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। তবে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করলেও পাসপোর্ট অফিসে সেবার মানে লাগেনি আধুনিকতার ছাপ। শুধু জনবলের অভাবে আধুনিক সব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। যদিও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, জনবল বৃদ্ধি করা হলে দেশের মানুষ পাসপোর্ট অফিসে পাবে বিশ্বমানের সেবা।
পাসপোর্টের জন্য গ্রাহকদের দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা প্রতিটি কক্ষে, সকাল থেকে বায়োমেট্রিক দিতে সাধারণ মানুষের দীর্ঘসারি, যেখানে বসার সুযোগ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর কাউকে কাউকে ফিরতে হচ্ছে সেবা না পেয়েই। সেবাগ্রহীতারা বলছেন, এখানে সেবার মান অত্যন্ত নিম্নমানের। এখানে উচিত লোকবল বাড়ানো। অফিসার বাড়িয়ে দেওয়া হলে মানুষ এই ভোগান্তির শিকার হতো না। আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও শুধু বায়োমেট্রিক দিতেই এই অফিসে হাজির হন আড়াই হাজার জন। আর অন্যান্য সেবা নেন আরও ৩ হাজার। এতে সেবার পরিবর্তে শিকার হন দুর্ভোগের। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন দালাল চক্র।
আরো পড়ুন:
প্রবাসীদের বেতন নিয়ে পালিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাইফুল
বিশ্বকাপ ঘিরে জমজমাট বাংলাদেশীদের ট্যুরিজম ব্যবসা
সংকটেও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যে জেলায়
শ্বশুরের মৃত্যু, শোক সইতে না পেরে না ফেরার দেশে ওমান প্রবাসীর স্ত্রী
থামছেনা মানব পাচার, নিরাপদ রুট এখন মধ্যপ্রাচ্যে
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post