পর্যটকদের আকৃষ্ট যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে ওমান সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কমিটির এক বৈঠকে ওমানের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ বিন নাসের আল মাহরিজি বলেন যে, করোনা ভাইরাসের কারণে ওমানে পর্যটকরা আসতে পারছে না। তাই এখন থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ও দেশটিতে পর্যটক বৃদ্ধিতে টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের পহেলা মার্চ থেকে আগস্ট-২০২০ নাগাদ অব্যবহৃত টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ২০২১ সালের মার্চ অবধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওমান সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ বিন নাসের আল মাহরিজি বলেন, বিমান পরিবহন ও ভ্রমণের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য খাতের মতো পর্যটন খাতেও করোনার প্রভাব লক্ষণীয়। যে কারণে এই ক্ষতি সামাল দিতে ও নতুন ভাবে খাতটিতে গড়ে তোলার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত এই খাতটি থেকে উল্লেখযোগ্য হারে আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ সূচকগুলির উপর প্রত্যাশিত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রভাব সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজস্ব, ভিসা, পর্যটন ও সম্মেলনের বিষয়টি গত এপ্রিল মাসে পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। মূলত দেশটির পর্যটন খাতসহ অনেক সেক্টরের সুবিধা পেতে এমন প্যাকেজের ঘোষণা দেওয়া হয়। পর্যটন খাতের উপর মহামারীর প্রভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নিয়ে মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।
আরও পড়ুনঃ ওমানে করোনা সুস্থতার হার দ্বিগুণ
মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই দেশটির প্রতিটি হোটেল ব্যবস্থাপনার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। তাই করোনার এই মহামারীতে হোটেলগুলোর কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেনও এই খাতটি অতিদ্রুত উন্নয়ন ঘটানো যায়। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয় একমত হয়ে দেশটির সকল হোটেল ব্যবসার কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির পর্যটন খাতের শুধুমাত্র সালালাতেই ৮০ মিলিয়ন লোকসান গুনতে হচ্ছে করোনা পরিস্থিতিতে। দেশের করোনা মহামারির প্রভাব কমিয়ে পর্যটন সংস্থাকে আরও উন্নয়নে কাজ করবে পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আরও দেখুনঃ ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রবাসীদের বিক্ষোভ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post