করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত কয়েকটি শব্দ খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। যার একটি লকডাউন। তবে এই লকডাউনে একটি দেশের অর্থনীতির গতিশীলতাকে অনেকাংশে অস্তমিত করে দেয়। একই সাথে দীর্ঘ লকডাউন থাকার পর আবার পুনরায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চালু হলে ঠিক আগের উদ্যম খুঁজে পাওয়া যায় না। ঠিক এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে ওমানের মাতরাহতে। মাতরাহ’র সুক এ করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রায় দুই মাসের অধিক সময় ধরে লকডাউনের আওতায় ছিলো অঞ্চলটি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাতরাহ’র কিছু অংশ লকডাউন খুলে দেওয়ায় কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই মহামারির কারণে শত শত শ্রমিক ও দোকানদারকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে। যে কারণে বর্তমানে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে এই অঞ্চলের জনগণের।
মাতরাহ’র এক বাংলাদেশী প্রবাসী ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, “লকডাউন খুলে দিলেও মাতরাহ সেই আগের মতো নাই, মনেহচ্ছে মাতরাহ ঘুমাচ্ছে… তবে এখন একটু ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে না উঠলে ব্যবসায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছেন এই প্রবাসী ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আবার ঠুং ঠাং শব্দ দিয়ে ফিরে আসতে পারে সেই পুরাতন মাতরা। প্রায় ৭৫দিনের দীর্ঘ লকডাউনের কারণে বলা যায় মাতরাহ সাময়িক কোমাতে চলে গিয়েছে। যে মাতরাহ সূর্য উঠার আগেই উঠে যায়, সেই মাতরাহ এখনো ঘুমাচ্ছে। আব্দুর রহিম বলেন, আমি মনে করে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ও এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে। তবে মাতরাহ আবার নিজের চিরচেনা রূপ খুঁজে পাবে বলে মনে হয় আমার।
আরও পড়ুনঃ ওমানের টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ বাড়লো
আবুল হাসান নামে এক প্রবাসী বলেন, ‘‘আমি গত দুই মাস ধরে বাড়ি থেকে বাহিরে বের হয়নি। তবে এখন লকডাউন শিথিল করায় আশার আলো দেখছি। কারণ আমি আবার নিজের ব্যবসা পুনরায় খোলার স্বপ্ন দেখছি। আমার একটাই আশা, যেনো আমরা সকলেই আমাদের দোকানে ফিরে যেতে পারি এবং নতুনভাবে জীবন শুরু করতে পারি। মহামারীতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য আমরা সত্যই প্রশংসা করি। জীবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ওমান সরকার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সকল প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।”
আরও দেখুনঃ ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রবাসীদের বিক্ষোভ কেনো?
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post