হুন্ডির কারবারে জড়িত চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারে পর থেকে বিগত মাসের তুলনায় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জিসানুল হক বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে এক শ্রেণির অসাধু চক্র বিদেশে অর্থ পাচারসহ হুন্ডি করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি কমিয়ে দিয়েছিল। এতে ডলারের দাম বাড়ায় তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্তে নামার পর গত ৭ সেপ্টেম্বর হুন্ডি কারবারের সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, এরা গত এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৭.৮ বিলিয়ন ডলার পাচার করে। সিআইডির অভিযানের পর বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে গত মাসের তুলনায় রেমিট্যান্সের প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যমতে, ডলারের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেওয়া হলেও চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। প্রবাসীরা এভাবে আয় পাঠালে মাস শেষে তা ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গত জুলাই ও আগস্টেও আয় ২ বিলিয়নের বেশি ছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post