হযতর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। বিশেষ করে মধ্যপ্রচ্যগামী যাত্রীদের ভোগান্তি এখন চরমে। নতুন ট্রলি থাকার পরেও মাথায় করে ব্যাগ কাঁধে-মাথায় করে টানতে টানতে হচ্ছে যাত্রীদের। সঙ্গে মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ সবাই। এ জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
দিন কিংবা রাত, যাত্রীদের জটলা লেগেই আছে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। যাত্রীদের বিমানবন্দরের টার্মিনালের ভেতরে ট্রলি নিয়ে সংকটে পড়তে হচ্ছে না। তবে ক্যানোপিতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। আয়তনে ছোট ২টি ক্যানোপিতে এক সঙ্গে অল্প সংখ্যক গাড়ি দাঁড়াতে পারে। যার ফলে ক্যানোপিতে গাড়ি আসতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এতে অনেক যাত্রী অপেক্ষা না করে নিজের লাগেজ নিয়ে পার্কিং জোনে যেতে চান। বিমানবন্দরের ক্যানোপি গ্রিল দিয়ে আটকানো থাকায় পার্কিং জোনের গাড়ি পর্যন্ত ট্রলিতে লাগেজ নিতে পারছেন না অনেকেই।
এছাড়া যাত্রীর স্বজনরা ক্যানোপিতে এসে লাগেজ নিতে সহায়তা করারও কোনও সুযোগ নেই। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সদস্যরা কোনও যাত্রীর স্বজনকে লাগেজ নেওয়ার সহায়তা করতে ক্যানোপিতে আসতে দেন না। যে কারণে মাথায় লাগেজ তুলতেই হচ্ছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা নামলেই বেড়ে যায় মশার উৎপাত। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৩৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬০ জনে। মশার উৎপাত বেড়ে এ নিয়ে আতঙ্কে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের স্বজনেরা। অপর যাত্রীরা বলেন, পাখির মতো মশা। এখানে কোনো স্প্রের ব্যবস্থা নেই। একটু স্প্রে করে দিলেই তো মশাগুলো থাকার কথা না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post