আমদানি খরচ বাড়ায় অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। অর্থবছরের শুরুতে এমন স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। এ সময়ে কমেছে পণ্য আমদানি, কমেছে খরচও। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে অর্থ ব্যবস্থায় যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছিলো তা এবার সহনীয় পর্যায়ে আসবে। যা মানছেন পরিকল্পনা মন্ত্রীও। এজন্য দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখার কথা বলছেন তিনি।
অন্যদিকে বিশ্লেষকরা মনে করেন, কড়া নজরদারিতে বৈদেশিক মুদ্রা বাণিজ্যের গতিশীলতা আনা গেলেও তা ধরে রাখাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ। ডলার–সংকট কাটাতে বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ আয় পাঠাতে কোনো নথিপত্র লাগছে না। পাশাপাশি আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনার সাথে প্রতি ডলারের জন্য ১০০ টাকার বেশি পাচ্ছেন প্রবাসীরা। আর এতেই চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে আগস্ট দেশে প্রবাসী আয় বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন সমস্যায় বিনামূল্যে ফোন করতে পারবেন প্রবাসীরা
আবার বিশ্ববাজারে মন্দার এই সময়েও বিদেশে পণ্য বেচে আগের বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশের বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ, রফতানিতে এগিয়ে বরাবরের মতোই পোশাক খাত। এদিকে ভোগ্যপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য আমদানিতে কমেছে ব্যয়। এটাকে স্বস্তি হিসবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও স্বস্তি নেই রিজার্ভে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ৭৫ শতাংশ বিনিয়োগ ডলারে থাকায় চড়া আমদানি খরচে মুনাফা কমছে, এরই মধ্যে রিজার্ভ নেমেছে ৪০ বিলিয়নের নিচে। একই সাথে জীবনযাত্রার খরচ সামলাতে হিমশিম সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে অস্বস্তির আভাস দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
বরাবরের মতোই তা মানতে নারাজ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। জানালেন, অর্থনীতির আকাশে অনিশ্চয়তার মেঘ কেটেছে। প্রণোদনা আর নীতি কাঠামোর কারণে আপাতত পার পাওয়া গেছে, বৈশ্বিক মন্দা আরো ঘনীভূত হবার আগে ব্যবসা পরিবেশ ধরে রাখতে হবে।
আরো পড়ুন:
আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার
বাংলাদেশ বিমানে ফের সক্রিয় টিকিট সিন্ডিকেট
আবারো মিয়ানমারের ছোড়া ২টি গোলা পড়লো বান্দরবানে
যে কারণে ৭০০ বছরেও খোলা হয়নি প্রিয় নবীজির রওজার মূল দরজা
প্রবাসী নারীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো ‘জিনের বাদশা’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post