ওমানের একদল গবেষক করোনাভাইরাসের তিনটি জেনেটিক্স উদ্ভাবন করেছে। মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পরে এই ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তারা। গবেষণা দলে ছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় পাবলিক ল্যাবরেটরিসের মেডিকেল ল্যাবরেটরি বিশেষজ্ঞ ডা. সামিরা আল মাহরোকি, সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সহকারী ডিন ড. ফাহাদ বিন মাহমুদ আল জাদজালিসহ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন মাইক্রোবায়োলজিস্ট এই গবেষণায় অবদান রেখেছেন।
সোমবার টাইমস অফ ওমানের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ফাহাদ আল জাদজালি বলেন, “ভাইরাস নিয়ে বেশ গবেষণা করা হয়েছে। এই ভাইরাসটির প্রধান সমস্যা হলও এটি গতবছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম দেখা দিয়েছে। তারপর খুবদ্রুত বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পরে। তবে ভাইরাসটি অনেকবার জীন পরিবর্তন করে সাড়া বিশ্বে এটি ছড়িয়েছে। তাই এটিকে নিয়ে গবেষণা খুব সহজ ছিলো না। তবে মহামারী চলাকালীন এই ভাইরাসটি কিভাবে পরিবর্তন হয়ে সাড়া বিশ্বে ছড়িয়েছে তা নিয়ে গবেষণা করে ওমান। এই গবেষণায় ভাইরাসটির তিনটি জেনেটিক্স উদ্ভাবন করা হয়।” করোনাভাইরাসগুলির প্রধান তিনটি জেনেটিক্স হলো জি, জিএইচ ও জিআর। দেশে ভাইরাসের মোট ৪৯ টি নমুনা নিয়ে এই গবেষণা চালানো হচ্ছে।
আল জাদজালি বলেন যে, “ওমানকে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরার জন্যই আমরা এই গবেষণা করেছি। বিশ্বব্যাপী করোনা ডাটাবেসে আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পেরে অনেক আনন্দিত। ভাইরাসটির জেনেটিক্স পরিবর্তনে বিভিন্ন সময় তাদের জীন পরিবর্তন হচ্ছে। যার কারণে এই ভাইরাসের প্রোটিনের কাঠামোটি খানিকটা পরিবর্তিত হয়েছে। ভাইরাসটির ক্লেদগুলিকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। যাতে আমরা জানি যে একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের লোকদের একটি নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা যায় কিনা। কারণ সংক্রামিত বিভিন্ন রোগীর মধ্যে এই ক্লেদগুলো থাকতে পারে। তবে আমরা এখনও বুঝতে পারছি না যে কিভাবে এই ভাইরাসটি এতো দ্রুত তার জীন পরিবর্তন করছে। বিজ্ঞানীরা এখনও এ নিয়ে কাজ করে চলেছেন।” আল জাডজালি আরও বলেন: “কিছু ভাইরাস রয়েছে যা তাদের কাঠামো খুব দ্রুত বদলে দেয়। এ কারণেই তাদের ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ ওমানে ফ্লাইট চালু করার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
সুলতান কাবুস ইউনিভার্সিটি ও গবেষণা কাউন্সিলের অর্থায়নে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। ওমানে যারা করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলো তাদের ওপর এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণাটি বলছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যে ভাইরাস পাওয়া গেছে এটি তিনটি জেনেটিক্সে বিভক্ত। তবে বেশির ভাগের ভিতর জিএইচ ও জিআর বিভক্ত ভাইরাসটি বেশি লক্ষণীয়। ওমানে করোনার জেনেটিক্স স্ট্রেনগুলির সনাক্তকরণ ও মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে কীভাবে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিষয়ে আরও গবেষণা করা হচ্ছে।
আরও দেখুনঃ প্রবাসীদের আলাদা স্মার্ট কার্ড দেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post