বিগত কয়েক সপ্তাহে ওমানের বেশ কিছু বাণিজ্যিক সেক্টরে লকডাউন উঠে যাবার পর দেশটির রাজধানী মাস্কাটেও লকডাউন তুলে দেওয়া হয়। আগামী দিনগুলিতে আরও কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চালু হবে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক পৌরসভা ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আহমেদ বিন আবদুল্লাহ আল শুহি। তিনি বলেন, এর আগে ঘোষিত দুই ধাপে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কমিটি নতুন এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন যে, “গত দুই ধাপে প্রায় ৭০ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিলো। এর পর নতুন ভাবে তৃতীয় ধাপে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওমান সরকার। প্রথম ধাপ দুইটিতে অন্তর্ভুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সুপ্রিম কমিটির সুরক্ষা নির্দেশাবলী মেনে চলেছে। তবে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার ৮৮টি নির্দেশনা লঙ্ঘনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
মন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে, ওমানে কোনো সেলুন বা বিউটি পার্লার খুলে দেওয়া হয়নি। কেউ যদি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন ওমান সুপ্রিম কিমিটি তৃতীয় ধাপে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো সেলুন, বিউটি পার্লার, বিবাহ বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের হলরুম, বিনোদমূলক কার্যক্রম পরিচালনা কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে না। করোনা পরিস্থিতি এখনো খুব একটা ভালো না তাই এখনি সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, এনএমসির ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান, নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মিনি প্যাডিক্যল আগের মতোই সর্তকতামূলক ভাবে চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ই-শপিং করতে হবে। যথাসম্ভব ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা ভাল। স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। নিরাপদ শপিং সংক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকল ধরনের কেনা কাটা করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসময় কেনাকাটার বিষয়ে নতুন কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আপনি যদি কোনো শপিং-মলে ঘুরে দেখেন তাহলে অবশ্যই আপনার হাত ও শপিং কার্টটি জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। শপিং তালিকায় নেই এমন আইটেমগুলিকে স্পর্শ করা যাবে না। নিজস্ব শপিং ব্যাগ রাখতে হবে। ব্যাগটি দোকানের স্টাফ দিয়ে পূর্ণ করুন, যাতে বিক্রেতার ব্যাগটি স্পর্শ করার প্রয়োজন না হয়। এতো সংক্রমণের ঝুঁকি না থাকে। শপিংয়ের আগে এবং পরে পানি এবং সাবান দিয়ে আপনার হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। জনবহুল স্থানগুলিতে কেনাকাটা করা এড়িয়ে চলুন। পরিবারের এক সদস্যকে শপিংয়ের জন্য বের করুণ। সকলে শপিং না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ ওমানে এনওসি প্রথা বাতিল
প্রতিটি গ্রাহকের টাকা প্রদানের পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আপনি কেনাকাটা করে বাড়িতে পৌঁছানোর আগে ব্যাগগুলি ভালো ভাবে জীবাণুমুক্ত করুণ। এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। নিশ্চিত হয়ে নিন যে শপিং ব্যাগগুলিতে সকল মালামাল সঠিক আছে কিনা। এমন করে পণ্যগুলো সাজান যাতে কর সকল আইটেম দেখা যায় ও শপিং ব্যাগ কারো স্পর্শ করতে না হয়। রান্নাঘরে স্টোর করার আগে টিনজাত পণ্য যেমন মটরশুঁটি এবং অন্যান্যগুলি পণ্য ধুয়ে ফেলুন। ভালো ভাবে পানি দিয়ে কাঁচা ফল এবং শাকসবজি ধুয়ে ফেলুন। এবং পণ্যগুলো কম তাপমাত্রায় বা রেফ্রিজারেটর রাখুন।
আরও দেখুনঃ করোনা সঙ্কটেও ঈদের মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রবাসীদের
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post