প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থ আটকে যাচ্ছে কিছু অসাধু মানি এক্সচেঞ্জ বা হুন্ডিবাজদের হাতে। ফলে সময়মতো দেশে আসছে না অর্থ। এতে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা থেকে। এ খাতে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বিদেশে পরে আছে। এগুলো দেশে আনার জন্য ব্যাংকগুলোকে নানান উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে থাবা বসিয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। দেশি-বিদেশি কিছু এক্সচেঞ্জ হাউস প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা অন্যত্র বিনিয়োগ করে মুনাফা নিচ্ছে।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, রেমিট্যান্স এক্সচেঞ্জ হাউসে জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই দেশের ব্যাংকে নষ্ট্রো অ্যাকাউন্টে জমা করবে। এতে অর্থ জমা হলেই তা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পেয়ে যাবে।
এরপর বাংলাদেশের ব্যাংক প্রবাসীর হিসাবে তা টাকায় স্থানান্তর করে। কিন্তু এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো তা না করে, রেমিট্যান্সের অর্থ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে। এ খাতে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বিদেশে আটকে রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন,গত অর্থবছরে দেশে যে পরিমানের রেমিট্যান্সে এসেছে তার ৪১ শতাংশই আসছে হুন্ডিতে। কিন্তু হুন্ডিতে আসা সেই রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে দেশ।
এছাড়া বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গেও দেশের ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স পাঠানোর চুক্তি করে। এ সুযোগে বৈধ এক্সচেঞ্জ হাউজের পাশাপাশি গড়ে উঠে অনেক বেআইনি হাউস।
মোট রেমিট্যান্সের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৬ শতাংশ, কুয়েত থেকে ৮ শতাংশ, ওমান থেকে ৪ শতাংশ, মালয়েশিয়া থেকে ৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৯ শতাংশ, অন্যান্য দেশ থেকে ২৭ শতাংশ আসে।
ওইসব দেশেও হুন্ডি চক্র সক্রিয়। বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি হুন্ডিবাজদের তৎপরা বেশি। যে কারণে মালয়েশিয়া থেকে এখন রেমিট্যান্স বেশি কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বিদেশে যেখানে বাংলাদেশিরা রয়েছে সেখানের আনাচে-কানাচে বেআইনিভাবে অনেক এক্সচেঞ্জ হাউস গড়ে উঠেছে। সেগুলোর মাধ্যমে হুন্ডিতে অনেকেই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এদের অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post