আমিরাতে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা পেলেন ৭২ বছর বয়সী বাংলাদেশি আবুল কালাম আজাদ। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যাং ঝিমংখালী মিনাবাজার গ্রামে। তিনি গত ৫২ বছর যাবত দেশটিতে বসবাস করছেন বলে জানাগেছে।
দেশটির আজমানে তার মিনা জেনারেল মেইনটেনেন্স এন্ড কন্ট্রাক্টিং কোম্পানি নামে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আবুল কালাম একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি লেখক ও আধ্যাত্মিক হিসেবে ভিন্ন আরেক পরিচয় রয়েছে। আমিরাত সরকারের বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ গোল্ডেন কার্ড ভিসা প্রাপ্তিতে আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে এ ভিসা পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত এবং সম্মানবোধ করছেন। এ জন্য আরব আমিরাত সরকার এবং দেশটির সুপ্রিম কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান তিনি।
আবুল কালামের জন্ম ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি। স্বপ্নময় এক অনাবিল জীবনের অধিকারী তিনি। হাসি-খুশির এ মানুষটি প্রায় ৭২ বছর বয়সে এসে এখনও অনেক স্বপ্ন দেখেন। তাই তার স্বপ্নকে লিখিত রূপ ধারণ করতে এক গ্রন্থ রচনায় হাত দিয়েছেন। যার নাম দিয়েছেন ‘সাততরী স্বপ্নের পরী’।
এদিকে আবুল কালাম আজাদের গোল্ডেন কার্ড ভিসা প্রাপ্তিতে দেশের সুনাম বয়ে আনায় অভিনন্দন ও গৌরব প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। উল্লেখ্য: আমিরাত সরকার দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যথেকে বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, বিশেষ প্রতিভা, গবেষক, বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট শিক্ষার্থীদের ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনেক বাংলাদেশি এ ভিসা পেয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল।
আরো পড়ুন:
৩০ যাত্রী নিয়ে উল্টে গেল বিমান
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের লাগেজ থেকে মালামাল গায়েব
বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী
প্রবাসে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ, পর্তুগালে শিশুদের জন্য মক্তব উদ্বোধন
লাইট অফ হচ্ছিল বারবার, বিমানের ভেতরে সবার আধমরা অবস্থা!
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post