প্রণোদনা ও ডলারের দাম বৃদ্ধির পরও বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে বড় পতন হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈধ পথে আয় আনলে ব্যাংক দিচ্ছে ৯৩-৯৪ টাকা। আর হুন্ডিতে আনলে ১০০ টাকা মিলছে। পাশাপাশি আয় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই কারণে এই পতন হয়েছে। অবশ্য ব্যাংকে আয় আনলে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা যুক্ত হচ্ছে। তবে আয় পাঠাতে খরচ রয়েছে ৩ থেকে ৪ শতাংশ। ফলে অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাসে ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এ অঙ্ক আগের মাসের চেয়ে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার কম। চলতি বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। যা আগের বছরের জুন মাসের তুলনায় ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার কম। গত বছর মে মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি ছিল।
এদিকে ডলার সংকট কাটাতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধারাবাহিক কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। এই দামে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় আনছে আরও বেশি দামে। ফলে আমদানিকারকদের বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় রামদার কোপে বাংলাদেশি নিহত
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমলো ৩৫ হাজার কোটি টাকা
মাসের পর মাস গেলেও কর্মী যাচ্ছেনা মালয়েশিয়ায়
১১ মাস ধরে আশংকাজনক হারে কমছে রেমিট্যান্স
ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ বন্দর ওমানের সালালাহ পোর্ট
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post