প্রবাসী স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্রোক করে মারা গেলেন স্ত্রী খোদেজা বেগম। এ সময় মায়ের মৃত্যু দেখে বড় ছেলে আজাহারও স্ট্রোক করেন। মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নে। পরে আজাহারকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার বাবার মরদেহ কবর দেয়ার ব্যবস্থা করেন স্বজনরা। এরপর ছেলে কিছুটা সুস্থবোধ করলে মাকে কবর দেয়ার জন্য ফিরে আসেন।
জানা গেছে, গত ২২ জুন প্রবাসী জামাল উদ্দিন মালদ্বীপে স্ট্রোক করে মারা যান। দীর্ঘ চেষ্টা ও তদবিরের পর গত ২৮ জুন মঙ্গলবার রাত ৯টায় তার মরদেহ ফেনীর ফরহাদ নগর ইউনিয়নের চর কালিদাস গ্রামের নিজ বাড়িতে আনা হয়। একপর্যায়ে বাড়িতে স্বামীর মরদেহ দেখে নির্বাক হয়ে স্ট্রোক করে মারা যান স্ত্রী খোদেজা বেগম।
স্থানীয় ফরহাদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন টিপু বলেন, স্বামীর মরদেহ উঠানে দেখেই স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন তার স্ত্রী। তিনি জানান, জামালের স্ত্রীর মরদেহ ঘরে রেখে ও বড় ছেলে আজাহারকে হাসপাতালে ভর্তির পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে মা খোদেজা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়।
ছয় দিনের ব্যবধানে বাবা-মাকে হারিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আজাহার (১৮) ও তার অপর ভাই হৃদয় (১৫)। আজাহার ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি দেয়ার কথা রয়েছে ও হৃদয় স্থানীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। ফেনী জেলা ক্রিকেট একাডেমির কোচ রিয়াজ উদ্দিন রবিন জানান, আজাহার ফেনীর ক্রিকেটের একজন উঠতি খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পর কয়েকবার সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পৃথিবীতে তাদের আপনজন বলতে এখন রয়েছে তারা দুই ভাই। এই নিয়ে ক্রিকেট পাড়াসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরো পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু
ওমানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাথে এনআরবি সিআইপি’র সৌজন্য স্বাক্ষাত
মালয়েশিয়াগামীদের উদ্দেশ্যে সরকারের সতর্কবার্তা
ফের করোনার বিধিনিষেধ আরোপ করলো ওমান
ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আযহার তারিখ ঘোষণা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post