মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার শুরু থেকেই নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে সিন্ডিকেট না করার দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। তাদের দাবি সবার জন্য বাজার উন্মুক্ত রাখা হোক। এবার একই দাবি এবং ২৫ এজেন্সির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে, মালয়েশিয়ার কয়েকটি সংস্থা।
এদিকে রোববার ২৬ জুন জাতীয় সংসদে পয়েন্টে অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে, মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ‘টালবাহানা’ না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও কোনো সিন্ডিকেট না করে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য কর্মী পাঠানোর সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।
মালয়েশিয়ান সংস্থাগুলো বলেছে, কোনো ধরনের সিন্ডিকেট বা কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলে মালয়েশিয়ার শিল্পখাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মালয়েশিয়া এইচআর ফোরামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরুলকুমার সিঙ্গারাভেলু বলেছেন, একটি উন্মুক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া নেয়া, যেখানে উভয় দেশ দ্বারা নির্বাচিত একটি স্বাধীন দল কাজ করবে।
এরআগে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, তিনি বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেউই নিয়াগ সংস্থাগুলোকে অনুমোদন করেননি। এদিকে, সারাভানান বলছেন, বাংলাদেশি ২৫-এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, মানবপাচারসহ অভিবাসী ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অবস্থান উন্নত করতে।
অভিবাসন একটি বৈশ্বিক এবং জটিল সমস্যা যা অবশ্যই সঠিকভাবে পরিচালনা করা উচিত। এটি অবশ্যই সূক্ষ্মভাবে মোকাবিলা করা উচিত বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশটির মানব সম্পদমন্ত্রী।
আরো পড়ুন:
দুই মুসলিম দেশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে ইসরাইল বলেছে ইরান
পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে সৌদি যুবরাজের পদক
সব ভুলে এক হতে মিশরে গেলেন কাতারের আমির
চলতি মাসেই ফিরতে হচ্ছে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীদের
মার্কিন নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিলেন সুপ্রিম কোর্ট
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post