চীনের নাগরিক সুন্দরী হৌ ইয়াঙ্কি বর্তমানে নেপালে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু কূটনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে অন্য রূপে ধরা দিয়েছেন হৌ ইয়াঙ্কি। তিনি নেপালকে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে তুলে ধরতে মরিয়া।
এ বছরের শুরুর দিকে তখনও করোনাত্রাস গ্রাস করেনি বিশ্বকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে একগুচ্ছ ছবি দিয়েছিলেন হৌ। নেপালিকন্যার সাজে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অনন্যা। ছবির সঙ্গে তাঁর আবেদন ছিল, হিমালয়ের পাদদেশে নেপালে আরও বেশি করে বেড়াতে আসার জন্য।
হৌ-এর জন্ম ১৯৭০ সালে, চীনের শাংজি প্রদেশে। কলা বিভাগে স্নাতক হৌ অতীতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ অবধি তিনি পাকিস্তানের চীন দূতাবাসের উচ্চপদস্থ পদে ছিলেন। শুধু এশীয় দেশগুলোতেই নয়। এক সন্তানের মা হৌ এর আগে লস অ্যাঞ্জেলসের কনসাল জেনারেলেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। গত দু’বছর ধরে তার কাজের জায়গা নেপাল।
টুইটারে রাষ্ট্রদূত হৌ লেখেন, নেপালের সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ইতিহাস, প্রকৃতি এবং বৈচিত্র্যে ভরা নেপালে পা পড়ার অপেক্ষায়। নিজের টুইটে তিনি ট্যাগ করেন নেপালের পর্যটনমন্ত্রী যোগেশ ভট্টরাইকেও।
নেপালবাসীর শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে যায় হৌ-এর টুইটার হ্যান্ডল। নেপালের পর্যটন শিল্প অনেকটাই নির্ভর করে চীনের ওপর। করোনা আবহের আগে প্রতি বছর নেপালে বেড়াতে আসতেন অসংখ্য চীনা পর্যটক। ২০২০ বছরটাকে ‘ভিজিট নেপাল ইয়ার’ হিসেবে পালন করবে বলে গত বছরই ঠিক করেছিল নেপাল। কিন্তু করোনাত্রাস সব হিসেব গরমিল করে দেয়।
গত বছরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং নেপাল সফর করেন। তার পর এক লাফে বেড়ে যায় চীনা পর্যটকের সংখ্যা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম ১০ মাসে চিনের ১ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ বেড়াতে এসেছিলেন নেপালে। অন্যান্য বছরের হিসেবের তুলনায় তা অন্তত সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুনঃ ওমানের মুসান্দামে প্রবাসী গ্রেফতার
শুধু পর্যটন ক্ষেত্রই নয়। চীন-নেপাল সম্পর্কের অন্য দিকও তুলে ধরেন হৌ ইয়াঙ্কি। বলেছেন, তাঁর দেশ গত চার বছর ধরে নেপালের পরিকাঠামোর উন্নয়নে সাহায্য করছে। তার মধ্যে পর্যটন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সূত্র: আনন্দবাজার
https://www.youtube.com/watch?v=j8h_tu4CmCY
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post