প্রতিবছর জুন মাস আসলেই জাতীয় বাজেট নিয়ে সরগরম হয় দেশের গণমাধ্যমগুলো। বিশেষ করে বাজেটে কোন জিনিসের দাম কমছে, কোনটির বাড়ছে আবার কোন খাতে কতো বরাদ্ধ থাকছে এসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা সবচেয়ে বেশি। বাজেটকে ঘিরে দেশের বাইরে থাকা ১ কোটির বেশি প্রবাসী অপেক্ষায় থাকেন। তাদের জন্য নতুন কোনো সুখবর আসছে কিনা। কিন্তু বাস্তবতা হলো প্রত্যাশিত কিছু না থাকায় বাজেট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশা ভেঙে যায় প্রবাসীদের
এবারের বাজেটে একটু আলাদা প্রত্যাশা প্রবাসীদের। কোভিড মহামারীর মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীরা যে অবদান রেখেছেন, তার জন্য এবার বিশেষ কিছু প্রত্যাশা নিতান্তই স্বাভাবিক এমনটি মত দিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সঙ্গে আড়াই শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা থাকলেও এবারের বাজেটে এখনও প্রত্যাশিত কোনো খবর নেই প্রবাসীদের জন্য।
তবে এবারের বাজেটে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধার কথা শোনা গেলেও সেটি আসলে কতটুকু সত্য তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। বিশেষ করে ডলারের মান বেড়ে যাওয়ায় দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রণোদনার হার আরো বাড়তে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া প্রবাসীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং লাইফ স্কিম নিয়েও কথা শোনা যাচ্ছে।
দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান বিবেচনা করলে বাজেটে আলাদা কিছু প্রত্যাশা করতে পারেন তারা। বিশেষ করে কোভিড মহামারী সময়ে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান উল্লেখযোগ্য। সারা বিশ্ব অচলাবস্থার মধ্যে এই বিদেশ থেকে রেকর্ড পরিমাণ রেসিট্যান্স পাঠিয়েছেন এই প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে, তা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। এই ধারা অব্যাহত রাখতে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের উপর সরকার ঘোষিত আড়াই শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার জোর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। এতে প্রবাসীরা তার অর্জিত সকল অর্থ বৈধ চ্যানেলে দেশে পাঠাতে আগ্রহী হবেন।
মৌলিক কিছু দাবি নিয়ে সরকারের কাছে প্রবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রবাস ফেরত কর্মীদের সরকারি পেনশন চালু ও প্রবাসে থাকা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বীমার প্রকল্প। এই দুটি দাবি যৌক্তিক ও প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অধিকাংশ প্রবাসী কর্মী জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেন প্রবাসে। কেউ কেউ ২০ থেকে ২৫ বছরেরও অধিক সময় প্রবাসে থেকে রেমিট্যান্স পাঠান।
যতদিন তারা প্রবাসে থাকেন ততদিন কোনোরূপ বাড়তি চাহিদার আর্জি করেন না। কিন্তু শেষ সময়ে যখন তারা দেশে ফিরে যান তখন তাদের করার মতো আর কিছুই থাকে না। পেনশন সুবিধার আওতায় এলে এ সকল প্রবাসীরা শেষ সময়ে অন্তত বেঁচে থাকার ভরসা পাবেন। বিশেষ করে মৌলিক চাহিদা মেটাতে এই পেনশন সুবিধা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বলে জানান প্রবাসীরা।
আরো পড়ুন:
ওমানে দুই নারী সহ পাঁচ প্রবাসী গ্রেফতার
বাংলাদেশী কিলার মুসাকে আনতে ওমান যাচ্ছে পুলিশের একটি স্কট টিম
নতুন তেল ক্ষেত্রের সন্ধান পেল ওমান
প্রায় ৯০ শতাংশ কমে ওমানে শুরু হলো প্রবাসীদের নতুন নবায়ন ফি
স্বরনকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষি চট্টগ্রাম
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post