অবশেষে ওমান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন বাংলাদেশী কিলার মুসা। চলতি সপ্তাহে ওমান থেকে মুসাকে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা থেকে পুলিশের একটি স্কট টিম ওমান যাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের দু’জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও এনসিবির একজন কর্মকর্তা। সবকিছু ঠিক থাকলে এই স্কট টিমই এ সপ্তাহের ভেতরে মুসাকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরবেন।
ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের বহিঃসমর্পণ চুক্তি না থাকায় মুসাকে ফেরানোর জটিলতা দেখা দিলেও ওমানকে রাজি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারপোলের ঢাকার ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। তাকে সহজে ফেরানোর জন্য ওমানের পুলিশের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে এমনটি জানিয়েছে এনসিবি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাঁকে ধরতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ। বাংলাদেশের হয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি ডেস্ক। এরপর গতকাল শুক্রবার তাঁর গ্রেপ্তারের খবর আসে।
উল্লেখ্য: গত ২৪শে মার্চ রাতে শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মোটরসাইকেলে আসা এক ব্যক্তি যানজটে আটকে পড়া টিপুর গাড়ির কাছে এসে তাকে গুলি করে। সে সময় গাড়ির পাশে রিকশার আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নিলে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা সুমন শিকদার মুসা ওরফে শুটার মুসা।
আরো পড়ুন:
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমানে এক বাংলাদেশী প্রবাসী নিহত
এখন থেকে ওমান যেতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের লাগবেনা ভিসা
অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম দুই মুসলিম মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post