সৌদি আরবকে বন্ধু বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে ইসরায়েল। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে উপসাগরীয় বিভিন্ন আরব দেশের দ্বারস্থ হচ্ছে তেল আবিব। এতদিন এ বিষয়টি গোপনে করলেও এখন প্রকাশ্যেই সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার বিষয় নিয়ে কথা বলছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ সম্প্রতি এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর দ্য নিউ আরবের।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী আরব রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তার দেশ। যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় আরব দেশের সহায়তায় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইসরায়েল চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সোমবার ইঙ্গিত দেন লাপিদ।
তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং উপসাগরীয় অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে চারটি আরব দেশ- বাহরাইন, মরক্কো, সুদান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, তথাকথিত আব্রাহাম অ্যাকার্ডে সই করে।
সৌদি আরব এই অ্যাকার্ডের সমর্থন করছে। তবে এখনই তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় না। রিয়াদের যুক্তি হচ্ছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হলেই তারা তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
একই যুক্তি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ওমান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হলেই কেবল ওমান তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
আরো পড়ুন:
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমানে এক বাংলাদেশী প্রবাসী নিহত
এখন থেকে ওমান যেতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের লাগবেনা ভিসা
অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম দুই মুসলিম মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post