ফিলিস্তিনকে এড়িয়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক নয়, সাফ জানিয়ে দিলো সৌদি আরব। ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি। আরব নিউজের এক খবরে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে রিয়াদের অবস্থানের কোনো পরবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। গত ২৪ মে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।
ডাভোস প্যানেলে ‘মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন নিরাপত্তা নকশা’ শিরোনামে এক সম্মেলনে প্রিন্স ফয়সাল আরো বলেন, অতীতে আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে আমরা শেষ ফল হিসাবে দেখেছি। মূলত এটি হচ্ছে একটি পথের শেষ পরিণতি।
আমরা সর্বদা কল্পনা করি, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে। আমাদের সাথে এবং এ অঞ্চলের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অনেক সুবিধা নিয়ে আসবে। কিন্তু ফিলিস্তিন ইস্যুটি এড়িয়ে আমরা সেই সুবিধাগুলো অর্জন করতে সক্ষম হবো না। মার্কিন মধ্যস্থতায় মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান আল সাফাদি বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ অবসানে সম্পূর্ণ কোনো রাজনৈতিক সমাধান নেই। ইসরায়েলিদের আচরণ স্বাভাবিক প্রত্যাশাকে হত্যা করছে, হতাশা বাড়িয়েছে। এসবের সমাধান করা দরকার। এসব বিষয়ে আমাদের নজর দেওয়া দরকার।
সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনে আল জাজিরার সিনিয়র সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার ঘটনাটিও উত্থাপিত হয়েছিল। প্যানেলটি এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এ বছরেই ইসরায়েলি হামলায় ৪২ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে সাফাদি বলেন, কেউ কেউ চার, পাঁচ ও দশ হাজার মাইল দূরে থেকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলছে। দূরে অবস্থান করে আমাদের চেয়ে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এটি দেখা সহজ।
তিনি আরো বলেন, প্রশ্নটি সম্পর্ক স্বাভাবিক করা বা না করার নয়, প্রশ্নটি হল আমরা কি এ অবস্থাকে মেনে নেব, যার কারণে সঙ্কট আরো গভীর হতে থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের এই অঞ্চলের সবকিছুর আন্তঃসম্পর্কের দিকে নজর দেওয়া উচিত।
এদিকে, ইসরায়েল বিরোধী কঠোর আইন পাশ করেছে আরেক মুসলিম দেশ ইরাক। নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো ইরাকি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে ভ্রমণ ও তাদের সাথে কোন ধরনের সর্ম্পক রাখতে পারবে না। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও কোনো ইসরায়েলির সাথে যোগাযোগ রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। আইন ভঙ্গকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৬ মে ইরাকি পার্লামেন্টের ৩২৯ আসনের মধ্যে ২৭৫টি ভোট পেয়ে এই আইন পাশ করা হয়। সদ্য পাশ হওয়া আইনে বলা হয়েছে, দেশের ভেতর ও দেশের বাইরে কোনো ইরাকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে না। যারা আইন অমান্য করে ইসরাইলে ভ্রমণ বা সর্ম্পক রাখবে তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
ইচ্ছামতো রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে, কাগজপত্র ছাড়াই মিলবে প্রণোদনা
মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মারা গেলেন ওয়াহেদ মিয়া নামে এক মুসল্লি
ওমানে জুয়া খেলার অপরাধে ২৫ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post