ওমানে মহামারী করোনায় রবিবার একদিনেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে। রবিবার ওমান টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল-সাইদী এই কথা বলেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ওমান অবজারভারের সংবাদে বলা হয়েছে যে, ওমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৯ জন। যাদের মধ্যে ২১ জন ওমানী নাগরিক এবং বাকি ২৮ জন প্রবাসী। তবে প্রবাসীরা কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি।
মন্ত্রী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ও ঈদে অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানেনি, সুপ্রিম কমিটির নিয়ম ভঙ্গের কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ওমানে। তিনি বলেন, রবিবার ওমানে একদিনেই ৩,১৭১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এ নিয়ে ওমানে মোট পরীক্ষা হলো ১০০,১৮৪ জন। ওমানে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে যিনি মারা গেছেন, তার বয়স ৩৩ বছর বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এছাড়াও হাসপাতালের বাইরে পাঁচটি কোভিড -১ সম্পর্কিত মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু দেশে পুনরুদ্ধারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ হ’ল পুনরুদ্ধারের সময়কালের সংজ্ঞা পরিবর্তন এবং সুলতানি পুনরুদ্ধার পরবর্তী ১৪ দিন ধরে রেখেছে, মন্ত্রী বলেছিলেন। ওমানের কোভিড -19 থেকে পুনরুদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৬৮২ জন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বছরের শেষের দিকে ভ্যাকসিনটি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এমতাবস্থায় সকলকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বিশেষত সামাজিক দূরত্ব এবং জনসাধারণ ও জনাকীর্ণ স্থানে ফেস মাস্ক পরার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এদিকে ওমানের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সমাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সঠিক উপায়ে মাস্ক ব্যবহার ও তা নষ্ট হয়ে গেলে যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ওমানের সিবে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা
এমইসিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, “সমাজের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও বাসেল কনভেনশনের প্রযুক্তিগত দিক নির্দেশনা মেনে চলা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে ব্যবহৃত মাস্ক নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। যত্রতত্র ফেললে এটি পরিবেশ নষ্ট করবে ও এর থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নির্দিষ্ট স্থানে নষ্ট মাস্ক ফেলার জন্য আহ্বান জানিয়েছে দেশটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post