ওমানে মহামারী করোনায় আক্রান্ত অধিকাংশই প্রবাসী। আর এই প্রবাসীদের বেশীরভাগই বসবাস করেন রাজধানী মাস্কাটে। একারনে মহামারী করোনা প্রতিরোধে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে প্রবাসীদের। বিশেষকরে ব্যাচেলর প্রবাসীদের আবাসস্থল গুলো বেশী নজরদারির আওতায় রেখেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মাস্কাট সিটি কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার (২৩-এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে মাস্কাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনা মোকাবেলায় মাস্কাটের প্রবাসীদের আগের চেয়ে বেশি নজরদারিতে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওমানের সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত মাস্কাটের মাতরাহ অঞ্চলে, এছাড়াও রুই, হামরিয়া, বৌশার, আল হিল, সিব সব বেশকিছু অঞ্চল করোনা ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ওমানের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-মহাপরিচালক ডা. শওকী বিন আবদুল রহমান আল জাদজালি বলেন, “প্রবাসী শ্রমিকদের আবাসন নিয়ে সব স্তরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা আবাসিক এলাকার বাইরে শ্রমিকদের নতুন আবাসন ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা করছি। একই সাথে প্রবাসীদের প্রতি আরো নজরদারী বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”
কর্মক্ষেত্রের নিকটবর্তী এলাকায় প্রবাসীদের আলাদা আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য মাস্কাটের আবাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটার এলাকায় প্লট বরাদ্দের কাজ চলছে। মাস্কাট সিটি কর্পোরেশনের ২৩/৯২ এক আদেশে বলা হয়েছে যে আবাসিক বা বাণিজ্যিক এলাকায় একক প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কমপ্লেক্স বা ভবন স্থাপনের অনুমতি নেই। এই কারণে আবাসিক এলাকার বাহিরে প্রবাসীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে সরকার।
https://www.youtube.com/watch?v=H320x19a9VA&t=219s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post