১৫ মার্চকে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। মূলত ৫৫টি মুসলিম দেশের আনা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সদস্য রাষ্ট্রদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে দিবসটির স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এর মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে অসহিষ্ণুতা এবং বৈষম্য নির্মূলের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
ইসলামভীতি বা ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়তে সকল সদস্য রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থা, সুশীল সমাজকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২০২০ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের দেওয়া প্রস্তাবের পর থেকে প্রতি বছর ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি পালনের জন্য ১৫ মার্চ তারিখটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো- ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একটি মসজিদে ইসলামবিদ্বেষী বন্দুকধারীর গুলিতে ৫১ জন নিহত হন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসলাম-ভীতির বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করা যাওয়ার তার উপায় খুঁজে বের করতেও বহু দিন ধরে বলে আসছেন তিনি।
জানুয়ারিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কোনোভাবেই ইসলাম-বিদ্বেষ মেনে নেওয়া হবে না। তার দেশে মুসলিমদের জন্য নিরাপদ থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ইসলামের নবি মোহাম্মদকে অপমান করা কোনোভাবেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না।
আরো পড়ুনঃ
- যেসব ভিসার ফি কমালো ওমান
- বাংলাদেশ থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিতে চায় রোমানিয়া
- সৌদি আরবে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- ইউক্রেনের বাঙ্কারে আটকা পড়েছে ২ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
এদিকে, ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে মনোনীত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মঙ্গলবার মুসলিম বিশ্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘আমি আজ মুসলিম উম্মাহকে অভিনন্দন জানাতে চাই, কারণ ইসলামফোবিয়ার ক্রমবর্ধমান জোয়ারের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে এবং জাতিসংঘ ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রবর্তিত একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে মনোনীত করেছে’।
তিনি যোগ করেছেন, ‘আজ জাতিসংঘ অবশেষে বিশ্বের মুখোমুখি হওয়া গুরুতর চ্যালেঞ্জকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তা হচ্ছে, ইসলামফোবিয়া, ধর্মীয় প্রতীক ও অনুশীলনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নিয়মতান্ত্রিক ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য হ্রাস করা। পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এ যুগান্তকারী প্রস্তাবের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা’।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post