করোনাভাইরাসের ফুলডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে বাংলাদেশ প্রবেশে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়াউল কবিরের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত যে কোনও টিকার পূর্ণ ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের বাংলাদেশ আসতে করোনা পরীক্ষা করতে হবে না। তবে যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে।
যেসব যাত্রী এক ডোজ কিংবা কোনও ভ্যাকসিন নেননি, তাদের বাংলাদেশ আসতে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতেও করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। যাত্রীরা যে দেশে যাবেন, সেদেশের নির্দেশনা অনুসরণ করবেন।
বেবিচক জানিয়েছে, টিকা নেওয়া বা না নেওয়া কোনও যাত্রীর মধ্যে করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা গেলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে করোনা টেস্ট করাবে। টেস্টে তার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে নিজখরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে সাত দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। ১২ বছরের নিচে শিশুদের টেস্ট করাতে হবে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা মানতে হবে।
নির্দেশনায় এয়ারলাইনসগুলোকে বলা হয়েছে, ফ্লাইটে করোনা আক্রান্ত যাত্রী ধরা পড়লে তার বসার জন্য উড়োজাহাজে শেষের সারির সব সিট খালি রাখতে হবে। যেসব বড় উড়োজাহাজ ৩০০ বা এর কম যাত্রী ধারণে সক্ষম, সেগুলোতে ৯৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। যেসব উড়োজাহাজে ৩০০ জনের বেশি যাত্রী ধারণে সক্ষম, সেগুলোতে ৯০ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেবিচকের সর্বশেষ সার্কুলারে আরটি পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক ছিল। বেবিচকের সেই সার্কুলারে বাংলাদেশে প্রবেশ করা যেকোনও যাত্রীকে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে বলা হয়েছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post