সাদেক রিপন, কুয়েত প্রতিনিধি
বিশ্বব্যাপী করোনার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতির কারণে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমান, দুবাই, কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরব সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে পিসিআর পরীক্ষা এবং হোম কোয়ারেন্টাইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে টিকাপ্রাপ্তদের দেশে ছুটিতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে দেখাতে হচ্ছে করোনা নেগেটিভ সনদ। এতে যেমনিভাবে অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে প্রবাসীদের, তেমনিভাবে নানা ধরণের ভোগান্তির শিকারও হতে হচ্ছে তাদের।
এ ব্যাপারে কাতার প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক নূর মোহাম্মাদ বলেন, “করোনা পরিক্ষা করাতে দেশ ভেদে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬০০ থেকে ৫০০০ টাকা খরচ হয় সাথে শতরকম কষ্টভোগ, বিরক্তি ও ভোগান্তি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, নেপাল সহ অনেক দেশ তাদের প্রবাসীদের জন্য এই বিধিনিষেধ উঠিয়ে নিয়েছে। ফলে সেই দেশের মানুষের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে মানে টাকাগুলো পক্ষান্তরে তাদের দেশেই যাচ্ছে।
অন্য দেশে পিসিআর টেস্ট করা মানে টাকাগুলো ঐ দেশে খরচা করা। পক্ষান্তরে, দেশ কোনভাবে লাভবান হবে না বরঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশে অর্থ পাঠানোর প্রবাহ। ঘুমন্ত জাতি আমরা, সঠিক সময়ে উঠার অভ্যাস নেই। দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা, স্বভাবে প্রবাসীদের রক্তচোষা-টা এখন ছোঁয়াচে রোগে পরিণত হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
এদিকে কুয়েত প্রবাসীরাও করোনা পরিক্ষা বাতিলের দাবী জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী জিসান মাহমুদ ও ফয়সাল ২ মার্চ ছুটিতে দেশে ফিরেছেন। তারা জানান, বাংলাদেশ সরকার বিধিনিষেধ শিথিল না করায় তাদের টিকাগ্রহণের সনদ থাকা সত্ত্বেও করোনা পরীক্ষা করতে হয়েছে। বিমানবন্দরে দেখাতে হয়েছে করোনা নেগেটিভ সনদ। টিকাপ্রাপ্ত প্রবাসীদের দেশে যাতায়াতে বিধিনিষেধ শিথিল করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post