ওমানের মহামান্য সুলতান হাইথাম বিন তারিক দেশটিতে দুটি রাজকীয় ডিক্রি জারি করেছেন। ডিক্রিগুলোর ১ম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দেশটির মাস্কাট, সোহার ও সালালাহ বিমানবন্দরে ফ্রি জোন স্থাপন। এই ফ্রি জোনগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফ্রি জোন, সোহার বিমানবন্দর ফ্রি জোন ও সালালাহ বিমানবন্দর ফ্রি জোন। বিমানবন্দরের লে আউট অনুযায়ী ফ্রি জোনগুলো স্থাপন করা হবে।
ডিক্রির ২য় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ফ্রি জোনগুলোতে ওমান বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করবেন। এই সংস্থা ফ্রি জোনের উন্নয়ন, বিপণন, পরিচালনা করবে। অনুচ্ছেদ (৩) বলা হয়েছে ফ্রি জোনগুলো দেশটির আইনে পরিচালিত হবে। দেশের সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। অনুচ্ছেদ (৪) এ বলা হয়েছে প্রকল্পটি ১৫বছরের আয়কর মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ (৫) এ বলা হয়েছে কর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিভিন্ন নিয়ম, প্রবিধান জারি করা হবে।
এছাড়াও ডিক্রির ৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে অপারেটিং কোম্পানিগুলি তাদের পরিষেবা প্রদান করবে। বিনিময়ে অপারেটিং অংশকে বকেয়া অর্থ প্রদান করা হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ফ্রি জোন পাবলিক অথরিটি বোর্ডের অপারেটিং পরিষেবা প্রদান করবে। অনুচ্ছেদ ৭ এ বলা হয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিধিবিধান পরিচালিত হবে।
রাজকীয় ডিক্রি দ্বিতীয়টিতে বলা হয়েছে ওমান ও হাঙ্গেরির সরকারের মধ্যে বিনিয়োগের উৎসাহ ও পারস্পরিক সুরক্ষার বিষয়ে একটি চুক্তি করা হয়েছে। যা শুরা কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই ডিক্রিতে বলা হয়েছে সংযুক্ত সংস্করণ অনুসারে উপরে-উল্লিখিত চুক্তিটি অনুমোদন করা হবে এবং ডিক্রিটি সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হবে। ইস্যুর তারিখের পর থেকে এটি বলবৎ করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post