মধ্যপ্রাচ্যের এমনই একটি দেশ ওমান, যে দেশটিতে নিজস্ব যানবাহন ব্যতীত চলাফেরা করা বেশ ভোগান্তিকর। বাংলাদেশের মত যাত্রী পরিবহনের এমন সুবিধা নেই দেশটিতে। না আছে সিএনজি, না আছে উবার পাঠাওয়ের মত কোনো রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা। সম্প্রতি অনলাইন ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা চালু হলেও তা বেশ ব্যয়বহুল।
যাত্রী সেবার জন্য দেশটির একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মাওয়াসালাত কোম্পানি রয়েছে। যারা সিটি এবং সিটির বাহিরে যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে। তবে এ ছাড়াও জিটিসি সহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা দেশটির রাজধানী মাস্কাট থেকে বিভিন্ন প্রদেশে যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশের মতো এমন রিক্সা, ভ্যান, অটো, সিএনজি এবং বাইক সেবা নেই দেশটিতে।
যাদের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে, কেবলমাত্র তারা-ই নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন। এছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে ঘোরাফেরা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। ট্যাক্সি সেবা থাকলেও তা কেবলমাত্র ওমানি ড্রাইভার-ই চালাতে পারবেন। প্রবাসীদের জন্য ট্যাক্সি চালানো বৈধ নয় দেশটিতে। যে কারণে নতুন প্রবাসী বা ভ্রমণকারীদের জন্য ভাষাগত বিষয়ে বেস বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
তবে ইদানীং দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেশকিছু পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দেশটির ভীষণ ২০৪০ কে বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই মেট্রো রেল সংযোগের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও মাস্কাটে মেট্রোর পাশাপাশি রেল সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন দেশটির পরিবহন যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী সাইদ বিন হামুদ আল মাওয়ালি।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, “মেট্রোর ক্ষেত্রে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যারা মাস্কাটে মেট্রোর সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কাজ করছে। এই কমিটি সম্প্রতি তাদের প্রথম প্রতিবেদন শেষ করেছে। আশা করা যাচ্ছে কমিটির কাজ শেষ হলে মাস্কাটের জন্য মেট্রো কতটা প্রয়োজন তা জানা যাবে।” তিনি আরো বলেন, “মেট্রোর পাশাপাশি ওমানে রেল সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে ট্রেন প্রকল্পের সম্ভাবনা ও দ্রুত রেল সংযোগ স্থাপনে মনোযোগ দিয়েছে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post