মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সকালে কুয়ালালামপুরের আমপাং এলাকায় তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এ হাইকমিশনার।
মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরে ওই মামলা থেকে তিনি খালাস পান। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মালয়েশিয়ায় হাই কমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ঝুঁকি মনে করে কুয়ালালামপুরেই থেকে যান খায়রুজ্জামান। সংগ্রহ করেন জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড।
এদিকে, আটকের পর খায়রুজ্জামানের আইনজীবী তার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। খায়রুজ্জামানের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে আইনজীবী আদালতে হেবিয়াস কর্পাস দায়ের করবেন বলে জানা গেছে। হেবিয়াস কর্পাস একজন বন্দি বা বন্দিকে আদালতের সামনে আনার জন্য ব্যবহৃত হয় যে ব্যক্তির কারাদণ্ড বা আটক আইনানুগ কিনা।
এদিকে, মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার সাবেক হাই কমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইমিগ্রেশন আইন লংঘনের দায়ে তাকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। দেশে ফিরে আসতে বলা হলেও ফেরেননি। বিএনপি সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় চার্জশিট থেকে অব্যাহত পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও অধিকতর তদন্তের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তখন তিনি দেশে ফেরেননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post