প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, চলতি অর্থ বছরে বিদেশে ৯ লক্ষাধিক কর্মীর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আজ তার দপ্তরে জার্নালিষ্ট’স ফোরাম অন মাইগ্রেশনের (জেএফএম) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
জেএফএম সভাপতি মনির হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক, কার্যকরী সদস্য মো.শামসুল ইসলাম, রেজা মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ মো. কাফি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রীর পিএস কবির আহমদ, এপিএস মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হলে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন নারী পুরুষ কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ কর্মী চাকরি লাভ করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী মালয়েশিয়া শ্রমবাজার সর্ম্পকে বলেন, ‘আমি সিন্ডিকেটের পক্ষেও নই এবং বিপক্ষেও নই। আমি চাই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হোক এবং আমার দেশের গরিব মানুষগুলো বাঁচুক। অথাৎ কম টাকায় দেশটিতে কর্মী যাক।
তিনি বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, চীন ও জাপানেও প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। বিশ্বে অদক্ষ কর্মীর চাহিদা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। অভিবাসী কর্মীর স্বার্থেই আমরা দক্ষ কর্মী তৈরির ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছি। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় সরকারি টিটিসিগুলোকে আধুনিকায়ন করার চিন্তাভাবনা চলছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশটিতে ওয়ার্ক ভিসা চালু না হলেও ভিজিট ভিসায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্মীরা ওয়ার্ক ভিসা লাভ করে চাকরি লাভের সুযোগ পাচ্ছে। সউদী আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post