বিকিনি হোক, ঘোমটা হোক, জিন্স বা হিজাব হোক, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একজন নারীর। সে অধিকার নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় সংবিধান। নারীদের হয়রানি বন্ধ করুন। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক টুইটে কর্ণাটকে হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসরুমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সমর্থন করে এসব কথা বলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। খবর এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত সপ্তাহেও একটি টুইটে ক্লাসরুমে ছাত্রীদের হিজাব পরার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা লিখেছিলেন, শিক্ষার জন্য হিজাবসহ শিক্ষার্থীদের আসতে না দিয়ে আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যৎ ছিনতাই করছি। মা সরস্বতী সবাইকে জ্ঞান দেন। তিনি কোনো ভেদাভেদ তৈরি করেন না।
এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্ণাটকের উডুপি, চিক্কামাগালুরু এবং মান্ডা জেলার বেশ কয়েকটি শহরে ক্লাসরুমে হিজাব পরার অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার কর্ণাটকের হিজাব বিরোধী আন্দোলনের একটি ভিডিও ফুটেজও ছড়িয়ে পড়ে।
সেই ফুটেজে দেখা যায়, এক মুসলিম ছাত্রী বোরকা ও হিজাব পরে স্কুটি চালিয়ে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকেন। এ সময় একদল উন্মাদ ধরনের তরুণ তার দিকে এগিয়ে এসে গেরুয়া স্কার্ফ নেড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিৎকার করে। মেয়েটি ওই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার সময় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে পাল্টা জবাব দেয়।
মুসকান নামের ওই তরুণী এনডিটিভিকে বলেন, আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম না। আমি বোরকা পরেছিলাম। এই জন্য যখন আমি কলেজে ঢুকি তারা আমাকে কলেজে ঢুকতে দিচ্ছিল না। তারা আমাদের লেখাপড়া শেষ করে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post