এবার চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান যেতে ভাড়া গুনতে হচ্ছে এক লাখ টাকা। করোনা মহামারি শুরুর আগে চট্টগ্রাম-মাসকাট যেতে ইকনোমি শ্রেণিতে শুধুমাত্র যাওয়ার ভাড়া ছিল ৩৫ হাজার টাকা। ২০২১ সালের শেষে সেই ভাড়া বেড়ে ৬০ হাজারে উন্নীত হয়। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এই রুটে শুধুমাত্র যাওয়ার ভাড়া ছিল ৭০ হাজার টাকা। বিজ্ঞাপন রাত পেরিয়ে সকাল হতেই সেই ভাড়া এক লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
অবস্থা এমন যে দেশি-বিদেশি সবগুলো বিমান সংস্থা এখন ভাড়াকে কত বাড়াতে পারে তার প্রতিযোগিতা করছে। জানতে চাইলে গালফ ট্রাভেলসের কর্ণধার শাহ আলম বলছেন, মঙ্গলবার রাতে আমি চট্টগ্রাম-মাসকাট রুটে ওমান এয়ারের যাওয়ার ভাড়া ছিল ৬৯ হাজার টাকা। রাত পেরোতেই সেটি এক লাখ টাকা হয়ে গেল! আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। একাধিকবার চেক করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-মাসকাটে কমপক্ষে ১২টি ফ্লাইট আছে; যেগুলো সরাসরি যাত্রী পরিবহন করছে। এই রুটে ভ্রমণ যাত্রী খুবই কম; সবাই চাকরিজীবী। চিন্তা করে দেখুন একজন করোনা নেগেটিভ হয়ে আসা যাত্রী টিকেট কিনতে চাইলে তার কি করুণ দশা হবে? শাহ আলম পরামর্শ দেন, বাংলাদেশ বিমান এবং ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস চাইলে বাড়তি ফ্লাইট চালিয়ে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে যদি তাদের আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম থাকে।
এদিকে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বলছে, চট্টগ্রাম-মাসকাট রুটে এখন সপ্তাহে ১২টি ফ্লাইট চালাচ্ছে। এরমধ্যে ‘সালাম এয়ার’ সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট। ‘ওমান এয়ার’ সপ্তাহে ৪টি ফ্লাইট, ‘বাংলাদেশ বিমান’ সপ্তাহে দুটি এবং ‘ইউএস বাংলা’ এয়ারলাইনস সপ্তাহে ২টি ফ্লাইট চালাচ্ছে। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি এমিবিডিতে দেখা গেছে, ৪ ফেব্রুয়ারি চট্গ্রাম-মাসকাট রুটে সাতে তিন ঘণ্টা যাত্রার ‘সালাম এয়ারে’র বিমান ভাড়া ৯৪ হাজার টাকা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post