সৌদি আরবের আল কাসিম শহরের বুরাইদা এলাকায় পাকিস্তানীদের হাতে এক বাংলাদেশি প্রবাসী খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত প্রবাসীর নাম বশির। তার দেশের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পৌর এলাকার তুলাতলী গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান।
এ ঘটনায় এক বাঙালিসহ দুই পাকিস্তানি যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের লোকজন জানায়, পাঁচ বছর আগে সৌদিতে যান বশির। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। সেখানে যে কোম্পানিতে কাজ করতেন, সে কোম্পানির কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় বশিরের। যাদের মধ্যে পাকিস্তানি কয়েকজন ও ছিলো।
বন্ধুত্বের সুবাদে কোম্পানির একটি ক্যাম্পে একসঙ্গেই থাকতেন তারা। গত ২৩ জানুয়ারি (রোববার) রাতে পাকিস্তানি বন্ধুরা ওই শহরের কোনো এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বশিরকে। নিহত বশিরের বড় ভাইও সৌদিপ্রবাসী, নাম মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, বশির যে ক্যাম্পে থাকতেন, সেখানে কয়েকজন পাকিস্তানিও থাকতেন। রোববার রাতে পাকিস্তানি কয়েকজন শ্রমিক বশিরকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি
তিনি বলেন, ‘বশির গত কয়েক মাস বাড়িতে টাকা পাঠায়নি। টাকাগুলো তার কাছেই ছিল। ওই টাকার লোভে পাকিস্তানি যুবকরা কৌশলে ক্যাম্প থেকে ডেকে নিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। রাতে বশির ফিরে না আসলে, তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা কেউ বলে বশির হসপিটালে গেছে, কেউ বলে হোটেলে খেতে গেছে। আবার কেউ বলে দূরে ঘুরতে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ পাকিস্তানি দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই যুবক হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এদিকে নিহত বশিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলের মৃত্যুর খবরে মা কমলা বিবি বার বার বিলাপ করে মূর্ছা যাচ্ছিলেন। প্রতিবেশীরা এসেছেন, চোখের জল ফেলছেন তারাও। এই হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছেন নিহতের পরিবার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post