দেশের এবং প্রবাসের সবার কাছেই বহুল প্রত্যাশিত ই-পাসপোর্ট। এই ই-পাসপোর্টের রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তবে ই-পাসপোর্টের পাওয়ার সঠিক খরচ না জানার ফলে অতিরিক্ত খরচ করে ফেলেন পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী অনেকেই। চলুন জেনে নেয়া যাক ই-পাসপোর্টের খরচ।
ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে:
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
দেশের ভিতরে ই-পাসপোর্ট ফি (১৫% ভ্যাট সহ)
৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছরের মেয়াদ সহ ই-পাসপোর্ট
নিয়মিত ডেলিভারি: ৪,0২৫ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৬,৩২৫ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮,৬২৫ টাকা
৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছরের মেয়াদ সহ ই-পাসপোর্ট
নিয়মিত ডেলিভারি: ৫,৭৫০ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮,০৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১০,৩৫০ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছরের মেয়াদ সহ ই-পাসপোর্ট
নিয়মিত ডেলিভারি: ৬,৩২৫ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৮,৬২৫ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১২,০৭৫ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছরের মেয়াদ সহ ই-পাসপোর্ট
নিয়মিত ডেলিভারি: ৮,০২৫ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১০,৩৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ১৩,৮০০ টাকা
ই-পাসপোর্টের পাতা ও মেয়াদ যত বেশি হবে এর খরচ ও ততো বেশি লাগবে। নিয়মিত দেশে যেতে না হলে ৪৮ পাতা এবং ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যাদের কিছুদিন পর পর দেশে যেতে হয় তারা ৬৪ পাতা এবং পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানাতে পারেন।
ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post