প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা বৃদ্ধি করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। গত ১৩- জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাস্কাটে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে এই ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিস মৌসুমি রহমান। এ সময় কমিউনিটির নেতারা সহ উপস্থিত ছিলেন ঢাকা থেকে যাওয়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদল।
এ সময় মৌসুমি রহমান বলেন, এই উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশী প্রবাসীরা দূতাবাস থেকে আরও উন্নত ডিজিটালাইজড পাসপোর্ট সংক্রান্ত পরিষেবা পাবেন যা জনগণের পরিষেবাগুলির “ডিজিটালাইজেশন” এর একটি অতিরিক্ত উন্নয়ন।”
জানাগেছে, ই-পাসপোর্টের পাতা ও মেয়াদ যত বেশি হবে এর খরচ ও ততো বেশি লাগবে। নিয়মিত দেশে যেতে না হলে ৪৮ পাতা এবং ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যাদের কিছুদিন পর পর দেশে যেতে হয় তারা ৬৪ পাতা এবং পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানাতে পারেন।
ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইনে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন দাখিল করে আবেদনপত্র প্রিন্ট ও স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পেশার সনদসহ কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক আবেদন করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট আবেদন লিংক আমাদের ভিডিও ডেসক্রিপশনে দেওয়া আছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post