আজ ১১ই জানুয়ারি। গত দুই বছর আগে এই দিনে প্রয়াত সুলতান কাবুস বিন সাইদের মৃত্যুর পর ওমানের সিংহাসনে বসেন নতুন সুলতান হাইথাম বিন তারিক। এই দিনটিকে ওমানের রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহণের দিন হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এই দিনটি ওমানে একটি ঐতিহাসিক দিন। ওমানী নাগরিকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সুলতান হাইথাম বিন তারিক ক্ষমতায় অধিগ্রহণ করেন। ২০২০ সালে এই দিনে সুলতানকে স্বাগত জানিয়েছিল পুরো ওমানবাসী।
যেহেতু এই দিনে তিনি ওমানে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তাই এই দিনে দেশটির সকল নাগরিকের নবজাগরণ অর্জনে ভূমিকা রাখেন সুলতান। দেশের সকল খাতে উন্নয়ন ও দেশের করোনা পরিস্থিতিতেও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক উন্নতি করেছে ওমান। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে সুলতান হাইতাম বিন তারিখ। দেশের নাগরিকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন নতুন সুলতান হাইতাম বিন তারিক।
ওমানের জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রে জানাগেছে, দেশটির সকল প্রদেশের নাগরিকদের মৌলিক আইন, পৌরসভা অ্যাফেয়ার্স সিস্টেম (আইন) এর মতো আইনগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছেন সুলতান। সেইসাথে ভিশন ২০৪০ সহ দেশের শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য, রাজস্ব স্থায়িত্ব এবং রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যক্রমে উন্নয়ন সাধিত করতে ব্যাপক কাজ করেছেন তিনি।
নেতৃত্বে নবজাগরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ দেশটির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও ইতিবাচক উন্নয়ন করেছে ওমান। সরকারী ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, ঋণ হার কমানো এবং ওমানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রেখেছেন সুলতান। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলো ওমানের অবস্থা “স্থিতিশীল” এবং “ইতিবাচক” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
সুলতান হাইতাম বিন তারিক করোনা মোকাবেলায় ও বর্তমান পরিস্থিতিতেও দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে একটি সুপ্রিম কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটি দেশটির দ্রুত করোনা মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। একইসাথে আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত ভ্যাকসিন অনুমোদনসহ ওমানের নাগরিক পাশাপাশি প্রবাসীদের সুরক্ষায়ও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post