করোনা ভাইরাস নিয়ে ওমানের সুপ্রিম কমিটি আজ শেষ সপ্তাহের সংবাদ সম্মেলন করেছে। এই সম্মেলনে তারা জানিয়েছে দেশটিতে ঈদের পর পুনরায় আবার কাজ শুরু করবে সুপ্রিম কিমিটি। তবে পুনরায় কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত নাগরিকদের বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কমিটি। নিম্নে সম্মেলনের হাইলাইটগুলি আলোচনা সমূহ তুলে ধরা হইলো:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী: যদি দুই মিটার দূরত্ব মেনে চলে তাহলে তাদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, দেশটিতে কারফিউ আরোপের বিষয়ে আমরা অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে, ভাইরাসের বিস্তারে কারফিউ খুব বেশি কার্যকর নয়। তিনি আরও বলেন, দেশে আজ ৩২৭ জন নতুন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০৫ জন ওমানের নাগরিক। বর্তমানে হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা ১২২ জন ও আইসিইউতে রয়েছে ২২ জন। করোনায় আক্রান্ত রোগীর জন্য দ্রুত ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে ওমান।
পাবলিক প্রসিকিউটর: একই পরিবারের ব্যক্তি ছাড়া এক সাথে পাঁচ বা ততোধিক লোক কোনও জমায়েত করলে তা সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও বিবাহ, উপাসনালয় ও কোনও সমাবেশে অংশ নিলে ১০০ ওমানি রিয়াল জরিমানা করা হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন পালন না করলে ২০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। প্রসিকিউটর আরও বলে, বাণিজ্যিক কেন্দ্রসহ জনসাধারণে মাস্ক না পড়লে ২০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। যে সকল প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দেশনা মানছে না তাদের ১ হাজার ৫০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। এখন পর্যন্ত ওমান পুলিশ ওমানের বিভিন্ন অঞ্চলে সুপ্রিম কমিটির নির্দেশনা না মানার কারণে বেশ কয়েকজন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার ও জরিমানা করেছে।
ডা. সাইফ আল আব্রি বলেন, ওমানে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে আইসিইউতে। কারণ করোনা রোগীদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যসেবা নিতে দেরি করেছিল। বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। তাদের হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইম মেনে চললেই সুস্থ হয়ে উঠবে।
পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশটির বিমান খুব দ্রুতই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা শুরু করবে। বর্তমানে এই খাতে প্রায় ৪৩ শতাংশ ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে করোনায় বিমান খাতের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে প্রায় ৪ বছর লাগবে। বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকতে পারে না, তাই আমরা ধীরে ধীরে সেগুলি আবার চালু করছি। তবে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ওমানে আইন অমান্য করলে ২০০ রিয়াল জরিমানা
বৈদেশিক মন্ত্রী জানিয়েছে, ওমান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক প্রায় ২ হাজার ৫০০ নাগরিককে বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে যাদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক বেশি। এছাড়াও প্রবাসী শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে। বিমানবন্দর বন্ধ হওয়ার কারণে তাদের পাঠাতে দেরি হচ্ছে। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দেশের বাহিরে এখন পর্যন্ত কোনও ওমানি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তবে নিউ ইয়র্কে একজন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলো তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। সুত্রঃ টাইমস অব ওমান
https://www.youtube.com/watch?v=0-NzA5ZN_Hc
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post